মিয়ানমারের ‘স্বৈরাচার’ অবসানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে বিদ্রোহী জোট

ফাইল ফটো:: মিয়ারমারের জঙ্গলে বেসামরিক লোকজন সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বুধবার মিয়ানমারে জাতিগোষ্ঠীগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট দেশটির ‘স্বৈরাচার’কে পরাজিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। ক্ষমতাসীন সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, তারা চীনের মধ্যস্থতায় বিদ্রোহীদের সাথে আলোচনা করেছে। এই সংবাদের কয়েকদিন পরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করলো।

“থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স” মিয়ানমারের উত্তরে চীনের সাথে সীমান্তের কাছে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সমন্বিতভাবে আক্রমণ শুরু করার পর গত ছয় সপ্তাহে সেই লড়াই তীব্র হয়েছে।

হামলাটি গণতন্ত্রপন্থী মিলিশিয়াদের অন্য অঞ্চলে একই প্রকার আক্রমণ করতে উৎসাহিত করেছে। এই যুদ্ধ ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর যুদ্ধক্ষেত্রে জান্তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

আলোচনার উল্লেখ না করে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স’এর পোস্টে জানিয়েছে, “উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সম্পূর্ণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য আরও সময় এবং ক্রমাগত প্রচেষ্টার প্রয়োজন।”

সোমবার সেনাবাহিনী বলে, তারা বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং সংঘাতের অন্যান্য পক্ষের সাথে সাক্ষাৎ করেছে এবং এই মাসের শেষের দিকে আরেক দফা আলোচনা হবে। বিস্তারিত আর কোনো বিবরণ দেয়া হয়নি।

মন্তব্যে জানার জন্য রয়টার্স বারবার অনুরোধ করলেও জোটভুক্ত তিনটি দল সে অনুরোধে সাড়া দেয়নি। মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মিয়ানমারে সংঘাতের পক্ষগুলোকে শান্তি আলোচনা করতে দেখে তারা আনন্দিত এবং তারা আরও সমর্থন দিতে ইচ্ছুক।

বুধবার বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং জান্তার মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।

মূলত শান রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে যুদ্ধ হচ্ছে। এই যুদ্ধ চীনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২৭ অক্টোবর বিদ্রোহীদের আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে আনুমানিক তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ আরও জানায়, অভ্যুত্থানের পর থেকে বিশ লাখের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।