বুধবার অধিবেশন শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে কপ টুয়েন্টি এইট সভাপতি সুলতান আল-জাবের মূল নথির অনুমোদন দিয়েছেন। জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জন থেকে বিশ্ব কতদূরে আছে এবং কীভাবে তা অর্জন করা যায়- কোনো মন্তব্য না করে এ ব্যাপারে নথিতে আলোচনা করা হয়েছে। নথির অনুমোদনের পর প্রতিনিধিরা দাঁড়িয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন।
জাতিসংঘের জলবায়ু কর্মকর্তা সাইমন স্টিয়েল প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, তাদের প্রচেষ্টা “মানবতার জন্য মূল জলবায়ু সমস্যা: জীবাশ্ম জ্বালানি এবং পরিবেশ দুষণ বন্ধ করার একটি সংকেত প্রদান। তবে দুবাইয়ের সম্মেলনে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির বিষয়ে উপসংহারে আসিনি; এই পদক্ষেপটি শেষের শুরু মাত্র।”
নতুন চুক্তিটি বুধবার দিনের প্রথম দিকে অনুমোদিত হয়েছে। এটি কয়েক দিন আগে প্রস্তাবিত খসড়ার চেয়ে কঠোর ছিল, তবে এতে কিছু ত্রুটি ছিল যা সমালোকচকদের বিচলিত করেছে। বিশ্লেষক আর প্রতিনিধিরা ভেবেছিলেন, এর বিশদ বিবরণ নিয়ে অধিবেশনে তর্ক-বিতর্ক হবে, কিন্তু আল-জাবের খুব দ্রুত তার বক্তব্য শেষ করেছেন। সমালোচকদেরকে তিনি এমনকি গলা খাঁকারি দেয়ারও সুযোগ দেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কেরি বলেছেন, এর মাধ্যমে পরিষ্কার হলো, ইউক্রেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে বিশ্ব যা দেখছে তা সত্ত্বেও বহুপাক্ষিকতা এখন কার্যকর আছে।
তিনি বলেন, “এই নথিটি বিশ্বে অত্যন্ত শক্তিশালী বার্তা পাঠায়।”
চুক্তিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির ব্যবহার তিনগুণ বৃদ্ধির এবং জ্বালানিশক্তির সক্ষমতা দ্বিগুণ করার আহ্বানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সম্মেলনে আলোচনার শুরুতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর জন্য বিশেষ একটি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দেশগুলো ওই তহবিলে প্রায় ৮০ কোটি ডলার প্রদান করে।
চুক্তিতে বলা হয়েছে, রূপান্তরটি এমনভাবে করা হবে যাতে ২০৫০ সালে বিশ্বে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের হার শূন্যে নেমে আসে এবং যাতে বিশ্ব জলবায়ু বিজ্ঞানের নির্দেশ অনুসরণ করতে পারে।
সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল ডাইভার্সিটি এনার্জি জাস্টিসের ডিরেক্টর জিন সু এপিকে বলেন, “২৮ বছরের মধ্যে এই প্রথম দেশগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানি মোকাবিলা করতে বাধ্য করা হয়েছে।তাই সার্বিকভাবে দেখলে এটি একটি বিজয়। কিন্তু এর প্রকৃত খুঁটিনাটি খুবই ত্রুটিপূর্ণ।”