মিশরের কর্তৃত্ববাদী নেতাটি আবার নির্বাচন জিততে চলেছেন

আগামী সপ্তাহে হতে চলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও মিশরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসির পোস্টারের পাশ দিয়ে যান চলাচল। কায়রো, মিশর। ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩।

মিশরে অল্প সময় গণতন্ত্র ছিল। সেই সময় বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছিলেন বলে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি স্বৈরশাসক হিসেবে সমালোচিত হয়েছেন। তবে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা মজবুত করার জন্য ও সেনা-নিয়ন্ত্রিত পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য তিনি সমর্থকদের বিপুল প্রশংসা অর্জন করেছেন।

আসন্ন ১০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তৃতীয় বারের মতো নিজের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চলেছেন সাবেক এই সামরিক প্রধান। তবে, এই সময়ই প্রতিবেশী গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধ চলছে এবং দেশের অর্থনীতির অবস্থাও খারাপ। মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করার এক দশক পরে এই অবস্থা।

সক্রিয়বাদীরা বলছেন, রাষ্ট্র ও সেনা পরিচালিত মেগা প্রকল্প ও উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলিতে সিসি মনোযোগ দেওয়ার আগে ব্যাপক দমনপীড়নে কয়েক হাজার মানুষকে হাজতে বন্দি করা হয়েছে।

কায়রোর পূর্ব দিকে মরুভূমিতে নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নির্মাণের জন্য ৫৮০০ কোটি ডলারের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই নির্মাণস্থল সম্পর্কে সিসি বলেছেন, এটি নতুন প্রজাতন্ত্রের জন্মের ফলকচিহ্ন হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, “আমরা কায়রো বা আলেকজান্দ্রিয়া বা পোর্ট সাঈদ বা অন্যান্য প্রদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছি না। নতুন ও পুরাতনকে মিলিয়ে আমরা সামনে অগ্রসর হচ্ছি।”

তাঁর সমালোচকদের মতে, গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক এই জেনারেল প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের চেয়ে আরও গভীর কর্তৃত্ববাদের মধ্যে মিশরকে নিয়ে গেছেন। হোসনি মুবারক তিন দশক ধরে জরুরি অবস্থার মধ্যে শাসন করেছিলেন মিশরকে। ২০১১ সালে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।

অধিকার গোষ্ঠীগুলি বলছে, রাজনৈতিক বিরোধী, সক্রিয়বাদী ও মিডিয়ার মুখে লাগাম পরিয়ে দিয়েছেন সিসি। পাশাপাশি, নিরাপত্তা বাহিনী খেয়ালখুশি মতো আটক ও নিগ্রহ করেছে সাধারণ মানুষকে। অথচ তাদের কোনও সাজা হয়নি।

সিসি মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মহম্মদ মুর্শিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে এই গোষ্ঠীর কয়েকশো সমর্থককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।