ইসরাইলের উপস্থিতির প্রতিবাদে কপ-২৮ থেকে ইরানের প্রতিনিধিরা সরে দাঁড়ালেন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত কপ-২৮ জাতিসংঘ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে এক্সপো সিটির আল ওয়াসল গম্বুজের কাছে একটি সাইনবোর্ডে লেখা “ ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নাগালে রাখি”। (১ ডিসেম্বর, ২০২৩)

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনার মধ্য থেকে ইরানের প্রতিনিধিরা বেরিয়ে যান। ইসরাইলি প্রতিনিধিদের উপস্থিতির প্রতিবাদে তারা এই পদক্ষেপ নেন।

ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান বলেন, তাদের কাছে কপ-২৮ সম্মেলনে ইসরাইলের উপস্থিতি “সম্মেলনের লক্ষ্য ও নির্দেশনার পরিপন্থী” । এর প্রতিবাদেই তারা সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন।

ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে সাত দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষে গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আলোচনায় অংশ নেবেন না। এর পরিবর্তে মেহরাবিয়ান সম্মেলনে যোগ দেবেন।

কপ-২৮-এ বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে প্রায় ২০০ টি দেশের প্রতিনিধিরা প্রচেষ্টা জোরদার করার চাপে রয়েছেন। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ অষ্টম সপ্তাহে এই শীর্ষ সম্মেলনের উপর প্রভাব ফেলছে।

ইরনা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান গত জুনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের মাধ্যমে রাইসিকে কপ-২৮-এ যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

"ইহুদি শাসনের (ইসরাইল) কর্মকর্তাদেরকেও আমন্ত্রণ করার কারণে" ইরানি প্রেসিডেন্ট এতে যোগদান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানায় বার্তা সংস্থাটি।

আমির আবদুল্লাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে বলেন, " ইসরাইলের উপস্থিতি... এই বৈঠকে তাদের কথিত "যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যার" অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার দাবি রাখে।

ইসরাইলি কর্মকর্তাদের মতে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ লোক নিহত এবং ২৪০ জন জিম্মি হন। অপরদিকে, গাজার হামাস সরকার বলছে, সেই ঘটনার পর ইসরাইলের বোমা হামলা ও স্থল আক্রমণে, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।