ইসরাইলি প্রতিনিধিদলের উপর ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারীদের হামলা 

ফাইলঃ ফিলিস্তিনিপন্থীদের সমর্থনকারী বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ৪ নভেম্বর জড়ো হয় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে।

হামাস যে ইসরাইলীদের হত্যা কিংবা জিম্মি করেছে তাদের স্বজনদের একটি প্রতিনিধি দলকে মেলবোর্নে ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারীরা একটি পুলিশ স্টেশনে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছিল। অস্ট্রেলিয়ায় এই ঘটনার নিন্দা জানানো হয়। প্রতিনিধিদলটি যে হোটেলে রয়েছে বিক্ষোভকারীরা বুধবার তার লবিতে প্রবেশ করে। তারা সেখানে ব্যানার উড়ায় এবং মাটিতে দুটি রক্তাক্ত পুতুল রেখে আসে।

ইসরাইলের প্রতিনিধিদলটি বুধবার স্থানীয় একটি কলেজে জনসাধারণ ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং এর পরে ২০ জন ফিলিস্তিনি সমর্থক বিক্ষোভকারী ঐ ইসরাইলি প্রতিনিধি দল যাদের আত্মীয়রা ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে জিম্মি হয়েছে তাদেরকে অনুসরণ করে হোটেলে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছে এবং ব্যানার বহন করছে। একটি ব্যানারে লেকা ছিল, “ইসরাইলকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধকর” ”ফিলিস্তিন মুক্তহোক। ” অবশেষে পুলিশকে ডাকা হয় এবং বিক্ষোভকারীদের হোটেল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

ইসরাইলিরা গাজায় হামাসের হাতে বন্দী জিম্মিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরতে বৈশ্বিক প্রচার অভিযানের অংশ হিসেবে রাজনীতিবিদ ও অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করতে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

জানা গেছে বেসরকারি নিরাপত্তা গার্ড দিয়ে ইসরাইলিদের একটি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ক্যানবেরায় ইসরাইলি দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে বিক্ষোভের কারণে প্রতিনিধিদলটি “নিরাপদ বোধ করছে না।”

ভিক্টোরিয়া রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্টা অ্যালান স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে বিক্ষোভকারীদের আচরণ ছিল ভয়ঙ্কর ।

তিনি বলেন, “ মধ্যপ্রাচ্যে যে ভয়াবহ সংঘাত চলছে তার ফলে যারা শোক ও ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন তার জন্য আমাদের সম্মান ও সমর্থন রয়েছে, রয়েছে উদ্বেগও।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বৃহস্পতিবার আইনপ্রণেতাদের বলেন, বিক্ষোভকারীদের কর্মকাণ্ড “ঘৃণ্য।”

তিনি বলেন “ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থকে এগিয়ে নিতে এ সবে কোন কিছু হয় না।” ফিলিস্তিনিদের জন্য ন্যায়বিচার বা ঐ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যও তা কিছুই করে না।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অস্ট্র্রেলিয়া জুড়ে ফিলিস্তিনিপন্থী সমর্থকরা কয়েক ডজন বিক্ষোভ করেছে। পাশাপাশি ইসরায়েলপন্থী সমাবেশও ঘটেছে।