সম্প্রতি কোনো বন্দি বিনিময় না হওয়ায় রাশিয়াকে দায়ী করেছে ইউক্রেন  

২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল প্রকাশিত একটি ভিডিও থেকে নেয়া একটি ছবিতে ইউক্রেনের একটি অজ্ঞাত স্থানে বন্দী রুশ সেনাদের বিনিময়ের সময় ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের দেখা যায়। (যুদ্ধবন্দীদের চিকিৎসার জন্য সমন্বয় সদর দপ্তর/হ্যান্ডআউট রয়টার্সের মাধ্যমে)। ফাইল ছবি।

ইউক্রেন রাশিয়াকে গত কয়েক মাসে যুদ্ধরত দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময় বন্ধ থাকার জন্য দায়ী করছে।

ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধের প্রথম মাস থেকে কিয়েভ এবং মস্কো অনেক বন্দী বিনিময় করেছে, কিন্তু আগস্ট থেকে কোনো বন্দি বিনিময় হয়নি।

বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের মানবাধিকার কমিশনার দ্যমিত্রো লুবিনেটস বলেছেন, “বিনিময় ঘটছে না কারণ রাশিয়া তা চায় না।”

বৃহস্পতিবার রাতের ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেন, তিনি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্টলাইন এলাকায় দ্রুত দুর্গ নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছেন। ওই এলাকা রাশিয়ার সেনাবাহিনীর চাপের মধ্যে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কার্বি বলেছেন, রাশিয়ার সম্ভাব্য শীতকালীন হামলার প্রস্তুতি নিতে ইউক্রেনের সাথে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে।

ওয়াশিংটন ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, রাশিয়া এই শীতে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার চেষ্টা করবে। কার্বি বলেন, এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জনগণের যাতে তাপ ও বিদ্যুৎ ছাড়া থাকতে না হয় সে ব্যাপারে সহায়তা করার জন্য সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতভর রাশিয়া ইউক্রেনের ডনেটস্ক অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আবহাওয়ার অবস্থার উন্নতির সাথে সাথে রাশিয়ার কাছ থেকে আরও তীব্র আক্রমণের বিষয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চার শিশুসহ দশজন আহত হয়েছে। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো বৃহস্পতিবার বলেছেন, আরও পাঁচজন ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছে।

বৃহস্পতিবার রয়টার্স জানিয়েছে, রকেট চালিত নির্ভুল বোমার প্রথম বড় চালান পাওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র বোমাগুলিকে এমন ভাবে অভিযোজিত করেছে যাতে তা প্রায় ১৬০ কিলোমিটার রেঞ্জে আঘাত হানতে সক্ষম হয়।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।