আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে ৭ অক্টোবর হামাস হামলার শিকার ব্যক্তিদের পরিবার এবং যারা ঐ হামলায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন তাদের অনুরোধ ও আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে প্রসিকিউটার করিম খান ইসরাইল সফর করলেন।
আদালত এক্স (আগে যা টুইটার ছিল)’এ লিখেছে, “ এই সফর, যদিও ঠিক তদন্ত নয়, তাতে এই ঘটনার সকল শিকার ব্যক্তির প্রতি সহানুভূতি জানানোর এবং সংলাপে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ এনে দেয়”।
আইসিসি বলেছে খান অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায়ও যাচ্ছেন যেখানে তিনি ঊর্ধ্বতন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন।
৭ই অক্টোবরের নজিরবিহীন হামলায় হামাস জঙ্গিরা ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে আটক করে । ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলছেন তারা প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা করেছে , যাদের অধিকাংশই বেসামরিক লোকজন। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইসরাইল হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার সংকল্প ব্যক্ত করে । হামাস হচ্ছে ইসলামপন্থি আন্দোলনের একটি সশস্ত্র শাখা। ইসরাইলি বিমান, নৌ এবং স্থলবাহিনীর বিরতিহীন হামলায় ১৫,০০০ ‘এর ও বেশি লোক নিহত হয় বলে গাজার হামাস শাসকদের দাবি।
এক সপ্তাহব্যপী চুক্তির ফলে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা প্রাণঘাতী সংঘাতে বিরতি আসে । তবে এই অস্ত্র বিরতি শুক্রবার সকালে শেষ হবার কথা।
২০০২ সালে আইসিসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র স্বাধীন আদালত যার লক্ষ্য হচ্ছে গণহত্যা, যুদ্ধপরাধ, এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধসহ বিশ্বের সব গুরুতর অপরাধের তদন্ত করা।
২০২১ সালে তারা ইসরাইল, হামাস এবং অন্যান্য সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিন অঞ্চলে সম্ভাব্য যুদ্ধাপ রাধ সম্পর্কে তদন্ত শুরু করেছিল।
খান এর আগে বলেছিলেন যে এই তদন্ত এখন, “ অক্টোবর ২০২৩ সালের হামলার সময়কার সহিংসতা এবং বৈরিতা বৃদ্ধিকে তার আওতায় আনবে”।
আইসিসি টিম গাজায় প্রবেশ করতে এবং ইসরাইলেও তদন্ত করতে পারেনি । ইসরাইল আইসিসি’র সদস্য নয়।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এই সংঘাতের কারণে হামাস ও ইসরাইল যুদ্ধপরাধের অভিযোগের সম্মুখীন হতে পারে।
মধ্য নভেম্বরে পাঁচটি দেশ ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের ব্যাপারে আইসিসি’কে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে। খান বলেছেন তাঁর টিম “সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলীর” ব্যাপারে “ তাৎপর্যপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।