জাপানের উপকূলে বুধবার আট জন আরোহী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত হবার পর, সমুদ্রে এক ব্যক্তির দেহ ও বিমানটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পেয়েছে জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনী।
দুর্ঘটনার কারণ এবং বিমানটিতে থাকা ব্যক্তি ও অন্যদের অবস্থা সমন্ধে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, বলেন কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র কাজুও ওগাওয়া।
তিনি আরও বলেন, জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিউশুর কাগোশিমার দক্ষিণে ইয়াকুশিমা দ্বীপে একটি মাছ ধরার নৌকা থেকে জরুরি খবর পেয়ে সেখানে যায় উপকূলরক্ষী বাহিনী। তাদের বিমান ও টহল নৌকা একজনকে খুঁজে পায়। ইয়াকুশিমার পূর্ব উপকূল থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে তাকে পাওয়া যায়।
দেশটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো সাংবাদিকদের বলেন, “সরকার জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে, সেই সাথে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নিশ্চিত করে জানাবে।”
ওসপ্রে একটি হাইব্রিড বিমান যা হেলিকপ্টারের মতো উড্ডয়ন করতে পারে। এগুলো সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন কোর, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী ব্যবহার করে ।
ওগাওয়া জানান, বিমানটি ইয়ামাগুচি প্রদেশের যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন কোর এয়ার স্টেশন ইওয়াকুনি থেকে ওকিনাওয়ার কাদেনা বিমান ঘাঁটিতে যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার আগে এটি ইয়াকুশিমা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান উভয় দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমানটি পশ্চিম টোকিওর ইয়োকোটা বিমান ঘাঁটির ছিল। ইয়োকোটায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। তারা এখনো তদন্ত করছেন বলে জানান।
গত আগস্টে উত্তর অস্ট্রেলিয়ার একটি দ্বীপে বহুজাতিক প্রশিক্ষণের মহড়ার সময় ২৩ জন মেরিন সহ যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন কোরের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে তিনজন নিহত এবং কমপক্ষে পাঁচজন গুরুতর আহত হয়।
২০১২ সাল মেরিন ওসপ্রের কমপক্ষে পাঁচটি বিমান মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হন।