অতিরিক্ত দাম দিয়ে লোহার সিলিন্ডারের বদলে ভারতের গ্যাস গ্রাহকদের নিতে হবে কম্পোজিট সিলিন্ডার

ভারতের গ্রাহকদের লোহার সিলিন্ডারের বদলে এবার থেকে কম্পোজিট সিলিন্ডার নিতে হবে।

ভারতে লোহার সিলিন্ডারের বদলে এবার থেকে কম্পোজিট সিলিন্ডার নিতে হবে গ্রাহকদের। তারজন্য অতিরিক্ত ৮০০ টাকা দিতে হবে। রান্নার গ্যাস ও বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ রয়েছে। তারসঙ্গে এই নতুন নিয়মে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে সাধারণ গ্রাহককে।

রান্নার গ্যাসের ক্রমাগত বাড়তে থাকা দাম নিয়ে বেশিরভাগ গ্রাহকই অসুবিধায় পড়ছেন। বর্তমানে নতুন গ্যাস সংযোগ (লোহার সিলিন্ডার) নিতে গেলে গ্রাহককে ২ হাজার ২০০ টাকা জমা করতে হয়। সেই জায়গায় কম্পোজিট সিলিন্ডারের জন্য জমা করতে হবে ৩ হাজার টাকা। ডাবল সিলিন্ডারের সংযোগ নিলে দিতে হবে বর্তমান খরচের উপর ১ হাজার ৬০০ টাকা। অর্থাৎ নতুন নিয়মে প্রতিটি সিলিন্ডারের জন্য অতিরিক্ত ৮০০ টাকা দিতে হবে গ্রাহককে। সেই সঙ্গে পুরনো গ্রাহকরা যাতে এখনকার লোহার সিলিন্ডার পাল্টে কম্পোজিট সিলিন্ডার নেন, তার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

সাধারণ ভাবে যে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয় তাতে গ্যাসের পরিমাণ থাকে ১৪.২ কেজি। এরপরে লোহার তৈরি সিলিন্ডারের ওজন রয়েছে। কিন্তু সেটা নেই কম্পোজিট সিলিন্ডারে। মূল সিলিন্ডারটি তুলনায় অনেক হালকা এবং একই সঙ্গে তাতে গ্যাসের পরিমাণও থাকবে ৫ বা ১০ কেজি।

নতুন এই কম্পোজিট সিলিন্ডারে বেশ কিছু সুবিধাও রয়েছে। প্রথমত এটি হালকা হওয়ায় প্রয়োজনে সহজে সুবিধাজনক জায়গায় রাখা যায়। সেই সঙ্গে এই সিলিন্ডার যেভাবে বানানো হয়েছে তাতে বাইরে থেকেই দেখা যায় কতটা গ্যাস রয়েছে। বাড়িতে জোড়া সিলিন্ডার না রেখে প্রয়োজন মতো আনা যায়। এই সিলিন্ডারে মরচে ধরার ভয় নেই। ফলে বাড়ির মেঝেতে সিলিন্ডার রাখার জন্য সাধারণ ভাবে যে দাগ পড়ে তা এড়ানো যায়। সাধারণ এলপিজি সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে যেমন প্রতি মাসের গোড়ায় দাম বদলায় এ ক্ষেত্রেও তাই হবে।

ইন্ডিয়ান অয়েলের ইন্ডেন গ্যাস যাদের রয়েছে তারা পুরনো সিলিন্ডার ফেরত দিয়ে ঘরে নিয়ে আসতে পারেন নতুন এই সিলিন্ডার। যারা নতুন গ্যাস নেবেন তাদের ১০ কেজির সিলিন্ডার নিতে এককালীন তিন হাজার টাকা জমা করতে হবে।

গ্যাস ডিলাররা জানাচ্ছেন, ইন্ডিয়ান অয়েলের রান্নার গ্যাসই ব্যবহার করেন বেশিরভাগ মানুষ। সংস্থা থেকেই ডিলারদের নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে যে গ্রাহকদের কম্পোজিট সিলিন্ডারই নিতে হবে। সরকারি ভাবে কাগজে কলমে নীতি জারি না হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই সংস্থা থেকে এই নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে। পুরোদমে বিক্রি চালু না করলেও হিন্দুস্তান পেট্রলিয়াম আগেই এই বিশেষ সিলিন্ডার এনেছে।