আগামী ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তারপরও তেলেঙ্গানা সরকারকে ঋতুবন্ধু প্রকল্পে অনুদান বিলির অনুমতি দিয়েছিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। ভোট নিয়ামক এই সংস্থা তেলেঙ্গানার রাজ্য সরকারের যুক্তি মেনে নিয়েছিল যে, কৃষকদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার এই প্রকল্প নতুন নয়, চালু কর্মসূচি। ৩০ নভেম্বরের আগেই চলতি কিস্তির টাকা বিলির অনুমতি দিয়েছিল কমিশন।
কিন্তু সোমবার ২৭ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন তেলেঙ্গানার মুখ্যসচিবকে ই-মেইল পাঠিয়ে বলেছে, অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। অর্থাৎ ভোটের আগে রাজ্য সরকার এই টাকা কৃষকদের মধ্যে বিলি করতে পারবে না। তেলেঙ্গানা সরকারের পরিকল্পনা ছিল সোমবারই ডিবিটি বা ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার হিসাবে অনলাইনে রাজ্যের ৫০ লাখ কৃষকের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে।
অনুমতি দিয়েও ঋতুবন্ধ প্রকল্প প্রত্যাহার করে নেওয়ার কারণ, মন্ত্রী তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির প্রথম সারির নেতা টি হরিশ রাও নির্বাচনী প্রচারে ঋতুবন্ধু প্রকল্পের সাফল্য এবং সোমবার টাকা পাওয়ার কথা তুলে ধরেন। প্রশংসা করেন এই স্কিমের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভূমিকার কথা।
তেলেঙ্গানার এই স্কিম এখন কম-বেশি সব রাজ্যেই চালু আছে। অর্থাৎ বছরে দু’বার কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া। মোদী সরকারের প্রধানমন্ত্রী কৃষিকর্মণ যোজনাও তেলেঙ্গানার ঋতুবন্ধু প্রকল্পের আদলে চালু করা হয়েছে।
তেলেঙ্গানার মন্ত্রীর প্রকল্প নিয়ে প্রচারে আপত্তি তুলে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিল কংগ্রেস। কমিশন মনে করেছে, কংগ্রেসের আপত্তি ন্যায্য। কমিশনের সিদ্ধান্তের সুবিধা নিয়ে শাসক দল রাজনৈতিক সুবিধা নিতে পারে না।