চীনের হুমকির মধ্যে জাপানের সামরিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা জাপান ও ভিয়েতনামের

জাপানের টোকিও-তে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বৈঠকের সময় ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ভো ভন থুয়োং (বামে) ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা করমর্দন করছেন। ২৭ নভেম্বর, ২০২৩।

চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মধ্যে জাপান ও ভিয়েতনাম সোমবার দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করতে সম্মত হয়েছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ভো ভন থুয়োং টোকিও-তে বৈঠক করেন এবং নিরাপত্তাগত সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি স্থানান্তর সংক্রান্ত বিষয়কে সম্প্রসারিত করতে রাজি হন। সেই সঙ্গে এই অঞ্চলের সমমনা উন্নয়নশীল দেশগুলির সামরিক বাহিনীর জন্য জাপানের নতুন সহায়তা কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা শুরু করতেও সম্মত হয়েছেন তাঁরা।

জাপানের বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া তাদের যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, দুই নেতা জানিয়েছেন, জাপান-ভিয়েতনাম সম্পর্ক হবে “সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব”, চলতি সহযোগিতাকে “নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে ও আরও নতুন দ্বার খুলে” দেবে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দেশ ভিয়েতনামের সঙ্গে দ্রুত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলছে জাপান। চীনের উত্থান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলির সঙ্গে তাদের বিরোধের মুখে এই অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ভূমিকা রয়েছে ভিয়েতনামের।

সোমবারের এই ঘোষণার অর্থ হল, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের পাশাপাশি জাপান এখন ভিয়েতনামের শীর্ষ স্তরের সহযোগীর মর্যাদা লাভ করেছে।

দুই নেতার বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কিশিদা বলেন, “অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অর্জন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এক সহযোগী” ভিয়েতনাম। থুয়োং বলেন, এই অঞ্চলের শান্তি ও সমৃদ্ধিতে দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সমন্বয় সহায়ক হয়ে উঠবে।