আদানি গোষ্ঠী বিবৃতি দিয়ে জানাল ভারতের উত্তরকাশীর টানেল দুর্ঘটনায় কোনওভাবেই যুক্ত নয় এই সংস্থা

গৌতম আদানির কোম্পানি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে ভারতের উত্তরকাশীর টানেল দুর্ঘটনায় কোনওভাবেই যুক্ত নয় আদানি গোষ্ঠী।

ভারতের উত্তরকাশীতে গত ১২ নভেম্বর টানেল দুর্ঘটনার পর এখনও সুড়ঙ্গে আটকে আছেন ৪১ জন শ্রমিক। তাদের কীভাবে সুড়ঙ্গের মধ্যে থেকে বাইরে বের করে আনা যায়, তা নিয়েই চলছে নানা পরিকল্পনা। যুক্তরাষ্ট্রের যন্ত্র অগার মেশিন ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই উদ্ধারকাজে বড় ধাক্কা এসেছে। এখন পাহাড়ের ওপর থেকে উলম্বভাবে খনন চালিয়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে উদ্ধারকারী দল। সময়সাপেক্ষ হলেও এটাই এখন উদ্ধারের অন্যতম রাস্তা।

এই পরিস্থিতির মাঝেই আলোচনা শুরু হয়, উত্তরকাশীর সিল্কয়ারা টানেল খোঁড়ার কাজের দায়িত্বে ছিল আদানি গোষ্ঠী। এই খবরে যখন গোটা দেশ আন্দোলিত, তখন এ নিয়ে মুখ খুলল গৌতম আদানির সংস্থা।

এই অভিযোগের মাঝে সোমবার ২৭ নভেম্বর সেই নিয়ে মুখ খুলল গৌতম আদানির কোম্পানি। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, 'আমাদের নজরে এসেছে, কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তরাখণ্ডের টানেল বিপর্যয়ের সঙ্গে আমাদের নাম জড়াচ্ছে। যারা এটা করছেন তাদের তীব্র নিন্দা করি। আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই যে এই টানেল তৈরির কাজের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠী বা তার কোনও অধীনস্থ সংস্থা বা তার কোনও সহযোগী সংস্থার কোনও পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ সংযোগ নেই।" এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে যে সংস্থা আছে, তাতে তাদের কোনও শেয়ারও নেই।

সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে নিয়মিত খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছিল আগেই। সুড়ঙ্গের বাইরে প্রবল উৎকন্ঠার সঙ্গে অপেক্ষা করছেন আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবারের মানুষেরা। আন্তর্জাতিক সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান আর্নল্ড ডিক্স-এর তত্ত্বাবধানে চলছে সুড়ঙ্গ কাটার কাজ। এই কাজে প্রথমে ব্যবহার করা হয়েছিল অগার মেশিন। সেই মেশিন ধ্বংসস্তূপ কাটতে কাটতে শ্রমিকদের কাছে যাওয়ার রাস্তা পরিষ্কার করার কথা ছিল। কিন্তু শ্রমিকদের থেকে ১০ মিটার দূরে মেশিনটি বিকল হয়ে যায়।

এখন দু'ভাবে উদ্ধারকাজ চালানোর কথা ভাবা হয়েছে। এক, ভার্টিক্যাল ড্রিলিং অর্থাৎ যন্ত্রের মাধ্যমে পাহাড়ের ওপর থেকে খোঁড়ার কাজ চালানো ও দুই, ম্যানুয়াল ড্রিলিং অর্থাৎ উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা কোদাল-শাবল-গাঁইতি দিয়ে ধ্বংসস্তূপ কেটে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করবেন।

হিন্দুদের তীর্থক্ষেত্র চারধাম যাতায়াতের জন্য উপযোগী রাস্তা তৈরি করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয় কেন্দ্র সরকার। আর সেই প্রকল্পের অধীনেই ছিল সিল্কয়ারা টানেলের কাজ। সেই কাজ করতে গিয়েই গত ১২ নভেম্বর বিপত্তি ঘটে। ধস নেমে টানেলের মধ্যেই আটকে যান শ্রমিকরা। হায়দরাবাদের সংস্থা নবযুগ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিডেটের ওপর ছিল সিল্কয়ারা টানেলের খোঁড়ার কাজ।