ইরাকি কুর্দি সাংবাদিক নিয়াজ আবদুল্লাহ এই মাসে একটি পুরষ্কার গ্রহণের সময় তার ভাষণে, কুর্দি সংবাদ মাধ্যম, আন্দোলনকারী এবং রাজনীতিবিদরা কী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন, তা তুলে ধরেন।
নিউইয়র্কে আবদুল্লাহ শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি যখন এখানে দাঁড়িয়ে, তখন সাংবাদিকদের জন্য কুর্দিস্তান অঞ্চল এবং ইরাক এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।”
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস আবদুল্লাহকে এই সম্মানে ভূষিত করেছে, তার নিজের নিরাপত্তার ঝুঁকি উপেক্ষা করে ইরাকি কুর্দিস্তান নিয়ে একনিষ্ঠভাবে সংবাদ প্রচারের জন্য।
আবদুল্লাহর ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালে, কিন্তু ঐ সময় তিনি ভ্রমণ করতে পারেননি।
মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতি ফাঁস
পুরস্কার গ্রহণ ভাষণে তিনি তার সাংবাদিক সহকর্মী – শেরওয়ান শেরওয়ানি, গুহদার যেবারি আর কারামান শুকরির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করেন, যারা ইরাকি কুর্দিস্তানের কারাগারে রয়েছেন।
আবদুল্লাহ বলেন, “মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতি ফাঁস করে তা জনসমক্ষে তুলে ধরার কারণে তাদের এই দুর্ভোগ।‘’
আবদুল্লাহ এই চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে ভাল করেই জানেন। ইরাকি কুর্দিস্তান অঞ্চলের প্রধানমন্ত্রী মাসরুর বারজানির সমালোচনা করায় এই ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক আইনগত হয়রানির শিকার হন।
বছরের পর বছর ধরে আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আটক রাখা হয়েছে এবং তাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছিল।
তিনি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “আমি এখন পর্যন্ত কি ভাবে রক্ষা পেয়েছি তা আমি জানি না।”
ভয়েস অফ আমেরিকা কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারকে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ জানালে তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।