জিম্বাবওয়ের একজন বিরোধী সক্রিয়বাদীর মৃত্যু: জাতিসংঘ তদন্ত করতে বলছে

জিম্বাবওয়ে মানচিত্র

জাতিসংঘ শুক্রবার, জিম্বাবুয়ের বিতর্কিত উপ-নির্বাচনের আগে বিরোধী দলীয় এক সক্রিয়কর্মীকে অপহরণের পর মৃত অবস্থায় পাওয়ার ঘটনাটি স্বাধীনভাবে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার যাজক ও সিটিজেন কোয়ালিশন ফর চেঞ্জ (সিসিসি) ‘এর সক্রিয়কর্মী তাফুমানেই মাসায়ার লাশ রাজধানী হারারের ৩০ কিলোমিটার (১৮ মাইল) দূর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

দুই দিন আগে জিম্বাবুয়ের রাজধানীতে সিসিসি’র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার অভিযান চালানোর সময় সক্রিয়কর্মী তাফুমানেই মাসায়া এবং আরেক সক্রিয়কর্মী জেফরি কালোসিকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা জোরকরে তুলে নিয়ে যায়।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল বলেন, “দু’জনকেই নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানা যায়।” তিনি আরও বলেন মাসায়ার লাশ যেখানে পাওয়া গিয়েছে সেই একই এলাকায় কালোসিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সিসিসি জানিয়েছে, গত আগস্ট মাসে বিতর্কিত সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অংশ হিসেবে অপহরণ, গ্রেপ্তার ও অন্যান্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরেই ঐ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

থ্রোসেল উল্লেখ করেছেন যে জিম্বাবুয়ের কর্তৃপক্ষ বলেছেন যে মাসায়ার হত্যার তদন্ত করা হচ্ছে।

.আগস্ট মাসে সিসিসি নেতা ৪৫ বছর বয়সী নেলসন চামিসা প্রেসিডেন্ট পদে বর্তমান ৮১ বছর বয়সী এমারসন নানগাগওয়ার কাছে পরাজিত হন। ঐ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ পার্টি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।

(তবে) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, ঐ ভোট গণতান্ত্রিক মানদণ্ড মাফিক হয়নি তা ছিল অনেকটাই কম।