ইরানে ২০২২ সালের বিক্ষোভের সাথে সম্পর্কিত মামলায় গোপনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর:অধিকার গোষ্ঠী

ইরানের বাইরে এপি দ্বারা প্রাপ্ত এই ছবিতে তেহরানে মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদ করছে ইরানিরা। ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।

ইরানে গত বছর ব্যাপক বিক্ষোভের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্যকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করার পর বৃহস্পতিবার ইরান গোপনে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। অধিকার গোষ্ঠীগুলো একথা জানায়।

নারীদের জন্য ইরানের কঠোর পোশাকের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ইরানি কুর্দ তরুণী মাহসা আমিনির পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পরে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের সাথে সম্পর্কিত একটি মামলায় এটি ইরানের কার্যকর করা অষ্টম মৃত্যুদণ্ড।

নরওয়ে ভিত্তিক সংস্থা হেনগাও জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হামাদানের একটি কারাগারে ভোরবেলা মিলাদ জোহরেভান্দের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

গত বছরের নভেম্বরে মালয়ের শহরে বিক্ষোভের সময় একজন বিপ্লবী গার্ড কর্মকর্তাকে হত্যা করার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

হেনগাও কুর্দি ইস্যুর ওপর আলোকপাত করে থাকে। তারা বলেছে, জোহরেভান্দকে তার আসন্ন মৃত্যুদন্ড সম্পর্কে আগে কিছু জানানো হয়নি। এবং তাকে তার পরিবারের সাথে শেষ সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হয়নি।

জোহরেভান্দের (বয়স যার ২০ এর কোঠায় প্রথম দিকে) মৃত্যুদন্ডের খবর ইরানের অভ্যন্তরের গণমাধ্যমে জানায়নি।

ইরানি কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ২০২২ সালের বিক্ষোভের সাথে সম্পর্কিত মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং পশ্চিমা সরকারগুলো এইসব মৃত্যুদন্ডের নিন্দা জানিয়েছে।

সর্বসাম্প্রতিক সময়ে মে মাসে তিনজনকে এ ধরনের মৃত্যুদন্ডে দণ্ডিত করা হয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, তারা “বিশ্ব এবং ইরানের জনগণের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে চেয়েছিল যে, তারা ভিন্নমতকে চূর্ণ করতে ও শাস্তি দিতে কিছুতেই বিরত হবে না।”

অধিকার গোষ্ঠী এবং জাতিসংঘের মতে, ইরান বিক্ষোভ দমন করার জন্য ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। ওই বিক্ষোভে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অসলো-ভিত্তিক গ্রুপ ইরান হিউম্যান রাইটস অনুসারে, ইরান এই বছর কমপক্ষে ৬৮০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। বেশিরভাগ মৃত্যুদণ্ড হত্যা এবং মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে দেয়া হয়েছে।