উদ্ধারকাজ যত দ্রুত সম্ভব করা যায় তার চেষ্টা করলেও ভারতের উত্তরাখন্ডের উত্তরকাশীর সিল্কইয়ারা নির্মীয়মান টানেল ভেঙে সুড়ঙ্গে ধসে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকদের কাছে ১২ দিন পরে শুক্রবার ২৪ নভেম্বরও পৌঁছতে পারল না উদ্ধারকারী দল। ফের একবার যান্ত্রিক গোলযোগের কারণের থমকে গেল উদ্ধারকাজ।
১২ দিন আগে উত্তরকাশীর ওই সুড়ঙ্গে কাজ চলার সময় ধস নামে। সুড়ঙ্গের মধ্যে তখন ছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। ধস নামার ফলে সেই সুড়ঙ্গের মধ্যেই আটকে যান তারা। তারপর থেকেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে উদ্ধারকাজ। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় খুব সাবধানে উদ্ধারকাজ করতে হচ্ছে। কারণ যেকোনও সময় আরও বড়সড় বিপদ ঘটার আশঙ্কা থাকছেই।
ধাপে ধাপে উদ্ধারকাজ এগোচ্ছে। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানান, "উদ্ধারকাজ শেষ পর্যায়ে। শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যেই আটকে থাকা শ্রমিকদের বের করে আনা সম্ভব হবে।" যুক্তরাষ্ট্রের যন্ত্র অগার মেশিন সুড়ঙ্গে খননের কাজ করছে। কিন্তু বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও এই মেশিনে যান্ত্রিক গোলোযোগ ধরা পড়ে। ফলে শেষ পর্যায়ে এসে ফের থমকে যায় উদ্ধার কাজ।
উদ্ধারকারীদের কথায়, ৫৭ মিটার ধসের বাধা সরিয়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হবে। তবে এখনও পর্যন্ত অগার মেশিন ৪৬.৮ মিটার বাধা সরাতে সক্ষম হয়েছে। তারপরই মেশিনে গন্ডগোল দেখা দিয়েছে। ভারতীয় সময় শুক্রবার রাতের মধ্যে উদ্ধার কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। উদ্ধারকাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া মাত্র ফের ঘটনাস্থলে যান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। তিনি বলেন, "শেষ পর্যায়ের কাজ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। খুব সাবধানে ও দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে। সরকার সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত।"
উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গ খুঁড়তে আরও কয়েক মিটার বাকি রয়েছে। যদিও উদ্ধারকাজ শেষ করতে আর ঠিক কত সময় লাগবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না প্রশাসন। তবে কর্মীদের সুড়ঙ্গের বাইরে বার করে আনার চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে। যান্ত্রিক গোলযোগ ঠিক করে তাড়াতাড়ি উদ্ধারকাজ শুরু করা হবে বলে জানাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।