ইরানে পরিদর্শকদের বাধাদান, আইএইএ-র কাজে গুরুতর আঘাত: গ্রসি

ফাইল-আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মূলভবনের সামনে ইরানসহ অন্যান্য দেশের পতাকা উড়ছে। ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া। ৫ জুন, ২০২৩।

জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি বুধবার জানিয়েছেন ইরানে জাতিসংঘের সব চেয়ে অভিজ্ঞ এবং বিশেষজ্ঞ পরিদর্শকদের দল থেকে কয়েকজনকে বাদ দিয়েছে সেই দেশ; সংস্থার কাজের ক্ষেত্রে এ এক “ভীষণ গুরুতর ধাক্কা”।

আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ-কে সেপ্টেম্বরে তেহরান জানিয়েছিল, তারা সেই পদক্ষেপ নিচ্ছে যা পদচ্যুতি নামে পরিচিত। আইএইএ সেই সময় বলেছিল যে, ইরানকে এই কাজে অনুমতি দেওয়া হয়েছে তবে যেভাবে এটি কার্যকর করা হয়েছে তা নজিরবিহীন এবং তাদের কাজের জন্য ক্ষতিকর।

ইরানে অর্থবহ পরিদর্শন চালানোর ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ আইএইএ-র সক্ষমতাকে কতখানি প্রভাবিত করেছে—এই বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে গ্রসি বলেন, “আমাদের কর্মক্ষমতার ক্ষেত্রে এটা ভীষণ গুরুতর এক আঘাত।” এই পদক্ষেপকে পুনরায় বিবেচনা করার জন্য তিনি ইরানকে অনুরোধ করছেন।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূলে রয়েছে ইউরেনিয়ামের উৎকর্ষ বৃদ্ধি করা। ইউরেনিয়ামকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত উচ্চ মাত্রায় পরিশোধিত করা হয় যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা অস্ত্র তৈরির মানসম্পন্ন। ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টার কথা অস্বীকার করেছে তবে অন্য কোনো রাষ্ট্র এই অস্ত্র উৎপাদন না করে সেই স্তরে উন্নীত হতে পারেনি।

কতজন পরিদর্শককে পদ থেকে সরানো হয়েছে তা জানাবে না আইএইএ। কূটনীতিকদের মতে, এই সংখ্যাটা মুষ্টিমেয় কয়েকজনের চেয়ে সামান্য বেশি। কর্মকর্তারা বলছেন,ইরানে নিযুক্ত ১০০ জনের বেশি পরিদর্শকের একাংশকে সরানো হলেও ইউরেনিয়ামের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাঁরা আইএইএ-র শীর্ষ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে