প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ব্যক্তিগত আক্রমণে আপত্তি জানিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নামে ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাল বিজেপি। নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ‘অপয়া’ বলেছিলেন রাহুল গান্ধী। রাজস্থানে বিধানসভা ভোটের নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে 'পকেটমার' বলেও কটাক্ষ করেছিলেন।
মঙ্গলবার রাজস্থানে প্রচারে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেখানে এক জনসভায় বক্তৃতায় রাহুল বলেন, “অপয়া.. অপয়া..বিশ্বকাপে আমাদের ছেলেরা ভালই খেলছিল... অপয়া গিয়ে হারিয়ে দিল। দেশের মানুষ ব্যাপারটা জানে।”
পাশাপাশি তিনি বলেন, “পকেটমার কখনও একা আসে না। তিনজন একসঙ্গে আসে। একজন সামনে থেকে আসে, একজন পিছন থেকে, আর এক জন একটু দূরে থাকে।” কংগ্রেস নেতার কথায়, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাজ হল দেশের মানুষের দৃষ্টি ঘোরানো। উনি টিভিতে আসেন, হিন্দু-মুসলমান নিয়ে বিতর্ক উস্কে দেন, নোটবন্দি করেন, জিএসটি ঘোষণা করেন। আর সেই ফাঁকে আদানি পিছন থেকে এসে মানুষের টাকা নিয়ে চলে যায়।"
সংবাদপত্র ফাইনান্সিয়াল টাইমস-এর একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে রাহুল বলেন, "বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমদানি করা কয়লার দাম ১৩ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে দেখিয়েছে আদানি শিল্প গোষ্ঠী। আর সেই কারণ দেখিয়ে বিদ্যুতের মাশুল বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের টাকা লুঠ করেছে।" রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তুলেছিলেন, "বিলেতের সংবাদমাধ্যম এ কথা জেনে গেল, আর প্রধানমন্ত্রী জানেন না?"
এদিন নির্বাচন কমিশনে পেশ করা অভিযোগপত্রে বিজেপি বলেছে, দেশের প্রধানমন্ত্রীকে 'পকেটমার' বা 'অপয়া' বলা একজন সিনিয়র নেতার কাছে আশা করা যায় না। রাজনীতিতে উনি কোনও শালীনতা রাখছেন না।
বিজেপির কথায়, কাউকে পকেটমার বলা মানে শুধু তাকে ব্যক্তি আক্রমণ করা নয়, তার মানহানিরও সামিল। এ ব্যাপারে কমিশন যাতে ব্যবস্থা নেয় সেজন্য আবেদন জানিয়েছে বিজেপি।
বিজেপির উদ্দেশে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেসও। কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, "রাহুল অপয়া বলতে কারও নাম করেননি। তবে দেশের মানুষ সবটা জানে। পেট্রলের দাম ১০০ পেরিয়ে গিয়েছে, গ্যাসের দামে নাজেহাল রান্নাঘর, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর আগুন দাম, ব্যবসায়ী দেশের সম্পদ লুঠ করছে—এগুলো কি খুব পয়া লক্ষণ! এর জবাব কেন দিচ্ছে না বিজেপি!"