গোয়েন্দা স্যাটেলাইট নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া, জাপানে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য নাগরিকদের জন্য সতর্কতা

একটি টিভি স্ক্রিনে টোকিওতে জাপানের বাসিন্দাদের জন্য জে-অ্যালার্ট বা জাতীয় আগাম সতর্কতা দেখানো হচ্ছে। ২১ নভেম্বর, ২০২৩।

মঙ্গলবার দিনের শেষে পিয়ংইয়ং-এর নির্ধারিত একটি সময়ের কয়েক ঘন্টা আগে উত্তর কোরিয়া থেকে একটি সামরিক গুপ্তচর উপগ্রহ নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী একথা জানায়।

জাপানের সরকারও জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তারা ওকিনাওয়া জেলায় বাসিন্দাদের সতর্ক করে অবিলম্বে আশ্রয় নিতে বলে।

প্রায় ৩০ মিনিট পরে জাপান নিরাপদ স্থানে যাবার আদেশ তুলে নেয়। তারা বলে ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্ভবত জাপানের ওপর দিয়ে চলে গেছে এবং স্থানীয় সময় প্রায় ১০:৫৫ তে প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া জাপানকে জানিয়েছিল, তারা বুধবার থেকে শুরু হওয়া নয় দিনের সময়ে পীত সাগর এবং পূর্ব চীন সাগরের দিকে একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপের বাহন নিক্ষেপের পরিকল্পনা করেছে।

এই খবর নিশ্চিত হলে এটি হবে এই বছর উত্তর কোরিয়ার তৃতীয়বারের মতো গুপ্তচর স্যাটেলাট উৎক্ষেপণের চেষ্টা। পূর্ববর্তী প্রচেষ্টা মে এবং আগস্টে রকেট সমস্যার কারণে ব্যর্থতায় পর্যবাসিত হয়েছিল।

উত্তর কোরিয়ার সর্বসাম্প্রতিক প্রচেষ্টা সফল হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। উত্তর কোরিয়া প্রায়ই তার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে মন্তব্য করে না যতক্ষণ না তার রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্রগুলিতে পরের দিন সকালে এ সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশিত হয়।

গত বছর উত্তর কোরিয়া বলেছিল,তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং তার আঞ্চলিক মিত্রদের “আগ্রাসন সৈন্যদল” বলে পরিচিত অংশের বাস্তবে কার্যকর সময়ের তথ্য সরবরাহ করতে কক্ষপথে “অনেকগুলো” গুপ্তচর উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে।

উত্তর কোরিয়া কমপক্ষে দুটি স্যাটেলাইট কক্ষপথে স্থাপন করেছে- সর্বশেষটি করেছে ২০১৬ সালে- কিন্তু কোনোটিই কাজ করছে বলে মনে হয় না। পিয়ংইয়ং-এর দাবি,এই উৎক্ষেপণগুলো তার শান্তিপূর্ণ মহাকাশ উন্নয়ন কর্মসূচির অংশ।

যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা এই উৎক্ষেপণকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির অনেকটা ছদ্মবেশী পরীক্ষা বলে নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবের অধীনে উত্তর কোরিয়াকে যেকোনো ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যকলাপ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।