ন্যাশনাল হেরাল্ড কংগ্রেসের বর্তমানে অপ্রকাশিত সংবাদপত্র। স্বাধীনতার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত এই পত্রিকাটি। ২০০৮ সাল থেকে সেটির মুদ্রণ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে ডিজিট্যাল এডিশন চালু আছে। দিল্লি
২০১৩ সালে বিজেপির তৎকালীন সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী দিল্লির আদালতে ন্যাশনাল হেরাল্ড নিয়ে মামলা করেছিলেন।
এবার সেই ন্যাশনাল হেরান্ড মামলায় অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড এবং ইয়ং ইন্ডিয়া সংস্থার ৭৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে এই পদক্ষেপ নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি। দিল্লি ছাড়াও মুম্বই এবং লখনউয়ে সংস্থা দুটির সম্পত্তি রয়েছে।
সংস্থা দুটির গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী এবং সিংহভাগ শেয়ার রয়েছে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর নামে। যদিও তা তাদের ব্যক্তিগত নয়। দলের তরফে পরিচালন পর্ষদে আছেন দলের প্রাক্তন দুই সভাপতি।
গত বছর ২০২২-এ ইডি, সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। রাহুল গান্ধীকে পাঁচ দিন এবং সনিয়াকে দু’দিন ইডি দফতরে যেতে হয়েছিল। মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পর সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে চিন্তা বাড়ছে।
ন্যাশনাল হেরান্ড-এর যাবতীয় সম্পত্তিই বর্তমানে আসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড এবং ইয়ং ইন্ডিয়া-র নামে রয়েছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর আর্থিক দুরবস্থা কাটাতে দল ৯০ কোটি টাকা এককালীন সহায়তা দিয়েছিল সংবাদপত্রটিকে। সেই সময় আইনি জটিলতা কাটাতেই আসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড এবং ইয়ং ইন্ডিয়াকে যুক্ত করা হয়েছিল। ওই দুই সংস্থার সঙ্গে ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই সম্পত্তির হাতবদল হয়েছিল। এখানে ব্যক্তি বিশেষের লাভবান হওয়ার সুযোগ ছিল না, কেউ সে সুযোগ নেয়নি। মামলাটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দৃষ্টান্ত।