মুদ্রাস্ফীতি এবং অতীতে ছুটির ভ্রমণের দুঃসহ স্মৃতি সত্ত্বেও, থ্যাঙ্কসগিভিং-এর ছুটিতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বিমানবন্দর এবং মহাসড়কে ভীড় করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিমান ভ্রমণের ব্যস্ততম দিনগুলি হবে মঙ্গলবার এবং বুধবারের পাশাপাশি থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের পরের রবিবার।
ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মঙ্গলবার ২৬ লক্ষ এবং বুধবার ২৭ লক্ষ যাত্রীর স্ক্রিনিং আশা করছে। রবিবার আনুমানিক ২৯ লক্ষ যাত্রীর সর্বাধিক জনসমাগম ঘটবে। এই রেকর্ড ৩০শে জুনের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাবে।
এদিকে, এএএ পূর্বাভাস দিয়েছে যে ৫.৫৪ কোটি আমেরিকান আগামী বুধবার থেকে থ্যাঙ্কসগিভিং-এর পরের রবিবার পর্যন্ত বাড়ি থেকে কমপক্ষে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণ করবে।
আবহাওয়ার কারণে বিমান ও সড়ক চলাচল ব্যাহত হতে পারে। মঙ্গল ও বুধবার দক্ষিণ সমভূমি থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে একটি ঝড় অগ্রসর হতে পারে। যার ফলে তীব্র বজ্রপাত, দমকা হাওয়া এবং সম্ভাব্য তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন মন্ত্রী পিট বুটিজিজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকার গত বছরের তুলনায় বিমানবন্দরগুলিকে ছুটির ভ্রমণের জন্য আরও ভালভাবে প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছে। আরও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার নিয়োগ, পূর্ব উপকূলে নতুন বিমান রুট খোলা এবং তুষার সরানোর সরঞ্জামগুলির জন্য অনুদান প্রদান করছে তাদের। তবে তিনি ভ্রমণকারীদের বাড়ি ছাড়ার আগে রাস্তার অবস্থা এবং ফ্লাইটের সময় পরীক্ষা করার জন্য সতর্ক করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃতি যদিও একটা বড় প্রভাবক। তবে বিমান এবং গাড়ি দুই পথেই দাম আগের চেয়ে কমেছে। ভ্রমণ সাইট হপার জানিয়েছে, প্রতি টিকিটে বিমান ভাড়া গড়ে ২৬৮ ডলার, যা এক বছর আগের তুলনায় ১৪ শতাংশ কম।
গত বছরের এই সময়ের তুলনায় গ্যাসোলিনের দাম গ্যালনে প্রায় ৪৫ সেন্ট কমেছে। এএএ অনুসারে, সোমবার জাতীয় গড় ছিল গ্যালন প্রতি 3.30 ডলার, যা এক বছর আগে 3.67 ডলার ছিল।