মিয়ানমার থেকে চীন হয়ে শত শত থাই নাগরিককে তীব্র সংঘর্ষের মধ্যে সরিয়ে নেয়া হবে

মিয়ানমারের যুদ্ধে বাস্তচুত কয়েকটি পরিবার কায়াহ রাজ্যে এক অস্থায়ী গির্জায় প্রার্থনা করছে (ফটো অক্টোবর ২৯ তারিখ তোলা)।

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে জান্তা সেনা এবং সশস্ত্র জাতিগত-সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যকার লড়াইয়ে আটকে পড়া দুই শতাধিক থাই নাগরিককে চীন হয়ে থাইল্যান্ডে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে রবিবার থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, যারা ২০২১ সালের একটি অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি শহর এবং সেনাচৌকির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে।

গত মাসে তিনটি জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জোট এবং গণতন্ত্রপন্থী যোদ্ধাদের শুরু করা বৃহত্তম সমন্বিত আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই-এর মাঝে তারা উত্তরের কিছু অংশেও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।

থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ২৬৬ জন থাই এবং একটি অনির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিপিনো ও সিঙ্গাপুরবাসীকে উত্তর শান রাজ্যের লাউকাইং থেকে মিয়ানমার-চীন সীমান্তে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

রয়্যাল থাই আর্মি দ্বারা ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর তোলা এবং প্রকাশ করা এই হ্যান্ডআউট ছবিতে দেখা যাচ্ছে, থাই সামরিক কর্মকর্তাকে থাইল্যান্ডে ফিরে আসার পরে মা সাই যাওয়ার বাসে ৪১ জন থাই নাগরিকের সাথে দেখা যাচ্ছে। এই নাগরিকরা মিয়ানমারে আটকা পড়েছিলেন।

মানব পাচার আর টেলিকম জালিয়াতি

তাদেরকে চীনে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে এবং তারপর চীনের কুনমিং শহর থেকে দুটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ব্যাংককে নেয়া হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। সেখানে মানব পাচার এবং কোনো প্রকার অপরাধমূলক রেকর্ড তাদের আছে কিনা, সে সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।

এর আগে থাই কর্তৃপক্ষ বলেছিল, মিয়ানমারে আটকে পড়া থাই নাগরিকদের কয়েকজন মানব পাচারের শিকার এবং তাদের কেউ কেউ টেলিকম জালিয়াতি চক্রের সাথে জড়িত থাকতে পারে।

মন্ত্রণালয় স্বদেশ প্রত্যাবাসন ফ্লাইটের সময় নির্দিষ্ট করে জানায়নি তবে তারা বলেছে, দলটি রবিবার চীনা সীমান্তের দিকে যাত্রা করেছে।

জাতিসংঘের মতে, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া টেলিকম এবং অন্যান্য অনলাইন জালিয়াতির কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কয়েক লক্ষ মানুষকে অপরাধী চক্রগুলোর মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে, এবং তাদেরকে স্ক্যাম সেন্টার এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রমে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়ে থাকে।