ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি ৩৭টি রুশ গোষ্ঠী ও ১০৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, যাদের মধ্যে আছেন এক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলছেন, তিনি ইউক্রেন থেকে যুদ্ধকালীন সময় শিশুদের অপহরণ ও অন্যান্য “রুশ সন্ত্রাসের” বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার লক্ষ্য হাতে নিয়েছেন।
জেলেন্সকির কার্যালয় প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর সম্বলিত এই ডিক্রি জারি করার পর তিনি শনিবারের রাত্রিকালীন ভিডিও বক্তব্যে বলেন, “আমরা তাদের ওপর আমাদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় চাপ বাড়াচ্ছি এবং প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।”
জেলেন্সকি সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সঙ্গে সুনির্দিষ্ট অপরাধ জড়াননি। ডিক্রিতে ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগে ১০ বছরের শাস্তি ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৫ বছরের শাস্তি আরোপ করা হয়। “রাশিয়ান চিলড্রেনস ফাউন্ডেশন” নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ইংরেজিতে উল্লেখ করা হয়।
জেলেনস্কি তার বক্তব্যে জানান, এই তালিকায় “ইউক্রেনীয় শিশুদের অধিকৃত ভূখণ্ড থেকে অপহরণ ও জোর করে প্রত্যাবাসন” করার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং যারা “নানা উপায়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ সন্ত্রাসে মদদ জোগান”, তারা আছেন।
এদের মধ্যে আছেন সাবেক শিক্ষা ও বিজ্ঞানমন্ত্রী দমিত্র তাবাশিনক, যিনি ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনীয় নাগরিকত্ব হারান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাইকোলা আজারভ।
কিয়েভ বলছে, প্রায় ২০ হাজার শিশুকে তাদের পরিবার বা অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়াই রাশিয়া অথবা রুশ অধিকৃত ভূখণ্ডে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, এটি একটি যুদ্ধাপরাধ যা জাতিসংঘের চুক্তি অনুযায়ী গণহত্যা হিসেবে সংজ্ঞায়িত।
বৃহস্পতিবার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে, যেখানে তারা বলছে ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী ২ হাজার ৪০০-র বেশি শিশুকে রাশিয়ার মিত্র বেলারুশের ১৩টি অবকাঠামোয় স্থানান্তর করা হয়েছে।