ভারতকে তার সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ

মালদ্বীপের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জো তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছেন। মালে, নভেম্বর ১৭,২০২৩

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জো শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন যে ভারত যেন ঐ দ্বীপরাষ্ট্র থেকে তার সৈন্য সরিয়ে নেয়। শপথ গ্রহণের একদিন পর তিনি এই পদক্ষেপ নিলেন।

এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানিয়েছে মুইজ্জু যখন ভারতের ভূ-বিজ্ঞান বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রাজিজুর সঙ্গে দেখা করেন তখন তিনি এই অনুরোধ করেন। প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য এই মন্ত্রী মালদ্বীপে ছিলেন।

বিবৃতিতে বলা হয় , “ প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন যে সেপ্টেম্বেরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মালদ্বীপের জনগণ তাকে এই কঠোর ম্যান্ডেট দেন যাতে তিনি ভারতকে এই অনুরোধ করেন এবং তারা আশা প্রকাশ করে যে ভারত মালদ্বীপের জনগনের গণতান্ত্রিক ইচ্ছার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে।

মুইজ্জো , যাকে চীনপন্থি বলে মনে করা হয় এই প্রতিশ্রুতিতে নির্বাচনী প্রচারণা চালান যে তিনি ভারতের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মালদ্বীপ থেকে সরাবেন এবং বানিজ্যে ভারসাম্য আসবেন। তিনি বলেন তার পূর্বসূরি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সালিহর সময়ে বানিজ্য ছিল ভারতের সম্পূর্ণ অনুকুলে।

এই নির্বাচনকে এই বিষয়ে একটি গণভোট হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল যে চীন না কি ভারত কোন আঞ্চলিক শক্তির দিকে মালদ্বীপ ঝুঁকবে।

এশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বি দু’টি শক্তি ভারত ও চীন সেই দ্বীপপুঞ্জে তাদের প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে লক্ষ লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করেছে।

মালদ্বীপের বাজেট ঘাটতি পুষিয়ে তুলতে এবং অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলির জন্য অব্যাহত ভাবে ঋণ নেয়ায় সাধারণ ভাবে ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি।

বিশ্ব ব্যাংকের হিসেব মতে ২০২২ সালের শেষ নাগাদ মোট ঋণের পরিমাণ ৭০০ কোটি ডলার যা কী না মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ১১৩.৫ শতাংশ। এর আগের বছর তা ছিল ৫৯০ কোটি ডলার বা মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ১১২.১ শতাংশ।

মুইজ্জো ঋণের পরিমান বৃদ্ধিকে “ বিপজ্জনক” বলে বর্ণনা করেন এবং এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে, “ দ্রুত ও সাহসী” পদক্ষেপ গ্রহণের সংকল্প ব্যক্ত করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রশাসক সামান্থা পাওয়ার এবং চীনের স্টেট কাউন্সিলার শেন ই কিনসহ মুইজ্জোর এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলির রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।