আহত ফিলিস্তিনি শিশুদের নিয়ে প্রথম বিমান সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে

গাজা থেকে সরিয়েিআনা ফিলিস্তিনি শিশু এবং পরিবারগুলি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে চিকিৎসা নিতে পৌঁছানোর সাথে সাথে চিকিৎসকরা একজন আহত ছেলেকে দেখছেন। ( ১৮ নভেম্বর, ২০২৩) ।

গাজা ভূখন্ডে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে আহত ফিলিস্তিনি শিশুদের বহনকারী একটি বিমান শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে পোঁছেছে। দেশটি ১০০০ শিশুকে উদ্ধার করার যে প্রত্যয় প্রকাশ করেছে , এটি তারই অংশ।

শিশু ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ ১৫ জনের একটি দল শুক্রবার মিশরের সঙ্গে গাজা ভূখন্ডের রাফাহ সীমান্ত অতিক্রম করেন। এরপর তারা আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির উদ্দেশে একটি ফ্লাইটে ওঠেন।

বিমানটি আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ছোট বাচ্চারা তাদের মায়ের কোলে ঘুমিয়ে ছিল। গুরুতর আহত শিশুদের জন্য জায়গা তৈরি করার জন্য বিমানের কিছু আসন সরিয়ে স্ট্রেচারে শুইয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। ।

কয়েকজন তরুণের হাত-পা ব্যান্ডেজ করা ছিল। অন্যরা তাদের বাবা-মা বা আত্মীয়দের পাশে চুপচাপ বসে ছিল। কেউ কেউ একা ভ্রমণ করছিলেন।

একা ভ্রমণ করা ১২ বছর বয়সী আমর জান্দিহ অশ্রু সিক্ত চোখে জানায়,

"আমার বাবা, চাচা এবং আমি রাস্তায় কথা বলছিলাম। হঠাৎ একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে এবং আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আমি জেগে উঠে নিজেকে হাসপাতালে খুঁজে পেলাম। আমার চাচা নিহত আর আমার বাবা আহত হয়েছেন।"

১৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ আবু তাবিখ বিমানটিতে থাকা গুরুতর আহত শিশুদের একজন।সে যে গাড়িতে ভ্রমণ করছিল তাতে আঘাত করা হলে তার ঘাড় এবং মেরুদণ্ড জখম হয় ।

নাবিলা মাহমুদ তার ১৭ বছর বয়সী মেয়ে রাওয়ানকে নিয়ে গাজা ভূখণ্ড থেকে যাত্রা করেন। মেয়েটি তার মেরুদন্ডের নীচের অংশ ভেঙ্গে যা্ওয়ায় যন্ত্রনায় ভুগছে। মাহমুদ বলেন, তাদের বাড়িতে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে এবং তার পরিবারের ১৩ সদস্য নিহত হয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলায় প্রায় ১,২০০ মানুষ নিহত হওয়ার পর এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। হামাস প্রায় ২৪০ জনকে অপহরণ করেছে।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে । ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের চলমান প্রতিশোধমূলক সামরিক হামলায় এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আরও ২,৭০০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।

২০২০ সালের স্বীকৃতি চুক্তির পর থেকে ইসরাiলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের।