মিয়ানমারের পশ্চিমে বিমান হামলা, ১১ জন বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার খবর

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একজন সদস্য আহত হয়ে কারেনি বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করে।

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের একটি গ্রামে সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় আট শিশুসহ অন্তত ১১ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। শুক্রবার একটি নেতৃত্বস্থানীয় বিরোধী দল এবং এলাকার বাসিন্দারা একথা জানায়।

স্থানীয় স্বাধীন গণমাধ্যমের অনলাইন প্রতিবেদন অনুসারে, চিন রাজ্যের মাতুপি শহরের দক্ষিণে ভুইলু গ্রামে বুধবারের হামলায় চারজন আহত হয়েছে। সামরিক সরকার ওই স্থাপনায় হামলার কোনো ঘোষণা দেয়নি।

হামলার খবর যখন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান একটি বিবৃতি জারি করে মিয়ানমারের সব পক্ষকে তাদের সামরিক অভিযানে সংযম দেখানোর আহ্বান জানান, বিশেষ করে যেখানে বেসামরিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে, গণতন্ত্রপন্থী বাহিনী এবং জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর সেনা-স্থাপিত সরকারের আক্রমণে প্রায়ই বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

সম্প্রতি সারা দেশে সংঘাত বেড়েছে, যা শুরু হয় চীনের সাথে উত্তর-পূর্ব সীমান্তে শান রাজ্যের উত্তর অংশ থেকে।

জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের কার্যালয় শুক্রবার জারি করা এক বিবৃতিতে বলেছে, তার সংস্থা “মিয়ানমারের অবস্থান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যেখানে সেনাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং তাদের মিত্ররা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে এবং কয়েক’শ সৈন্য তাদের অস্ত্র ত্যাগ করেছে।"

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৭ অক্টোবর সংঘাত বেড়ে যাবার পর থেকে, প্রায় ৭০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং ৯০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। দু’লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এর আগে জাতিসংঘ বলেছিল, ২০২১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

বিবৃতিতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে সংঘাতের অবসান ঘটাতে সহায়তা করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়