শুক্রবার ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ‘ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিট, ২০২৩’। জি-২০ সম্মেলনের অংশ হিসাবে এই আন্তর্জাতিক সম্নেলনের আয়োজক ভারতের কেন্দ্র সরকার। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আয়োজক দেশ হিসাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার ভাষণে বিশ্ব পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেন, ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ অবিলম্বে বন্ধ করতে শক্তিধর দেশগুলিকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। তার কথায়, এই লড়াই এখনই বন্ধ করা না গেলে পশ্চিম এশিয়ার সঙ্কট জটিল আকার ধারণ করবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী দুই পক্ষের লড়াইয়ে নিরীহ মানুষের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 'ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিট, ২০২৩' আয়োজন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রশংসা করেন। দুই প্রধানমন্ত্রীই শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সামনে কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
গত মাসে ইসরাইল-এর উপর হামাসের আক্রমণের পর প্রধানমন্ত্রী মোদীর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে তার পরবর্তী বক্তব্যের ফারাক লক্ষ্য করা যায়। ফিলিস্তিন-এর উপর ইসরাইল বাহিনীর লাগাতার আক্রমণের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী দেশে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিন-এর প্রতি ভারতের দীর্ঘ সমর্থনের উল্লেখ নেই বলে বিরোধীরা সমালোচনা করেন।
তারপরই তিনি ফিলিস্তিন-এর প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আব্বাসকে ফোন করে পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর আশ্বাস দেন। শুরুতে তিনি ফোনে ইসরাইল-রর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে এই ব্যাপারে আশ্বাস দেন।
শুক্রবার দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিশ্বনেতাদের মাঝে হাজির হয়ে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ থামাতে দু-পক্ষের উপর আরও চাপ বাড়াতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। নিরীহ মানুষদের হত্যার তীব্র নিন্দা করেছেন বারবার।