অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা প্রতিবেদনে চীন সাইবার অপরাধের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চিহ্নিত

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস ক্যানবেরায় সংসদ ভবনে প্রতিনিধি পরিষদে। ১৫ নভেম্বর, ২০২৩।

অস্ট্রেলিয়ার ডিজিটাল স্পাই এজেন্সি চীনকে অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর বিরুদ্ধে গুরুতর হ্যাকিং-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

বুধবার অস্ট্রেলিয়ান সিগ্ন্যাল ডিরেক্টরেট বা এএসডি তাদের গত বছরের সাইবার হুমকি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এতে বলা হয়েছে, ফেডারেল সরকারি সংস্থা বা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর গুরুতর আক্রমণ যার ফলে সংবেদনশীল উপাত্ত “ব্যাপক ফাঁস”হয় তা গত বছরে দুই থেকে পাঁচে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এএসডি প্রতিবেদনে চীনকে বড় একটি ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে; তালিকায় এরপরে রাশিয়া এবং ইরানের নাম রয়েছে।

সমাজে আরও অস্ট্রেলিয়ান সাইবার অপরাধীদের লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন বলে প্রতিবেদন করা হয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে সারাদেশে ব্যক্তি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাইবার অপরাধের ব্যাপারে প্রায় ৯৮ হাজার রিপোর্ট করা হয়েছে। সংখ্যাটি আগের বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি।

পর্যালোচনার মেয়াদে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি অপটাস এবং এর বৃহত্তম স্বাস্থ্য বীমা ফার্ম মেডিব্যাংকে গত বছরের উচ্চ স্তরের লঙ্ঘন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

পোর্ট অপারেটর ডিপি ওয়ার্ল্ডের সাথেও এএসডি কাজ করছে। তাদের কম্পিউটার সিস্টেমগুলোতে অজানা বা অজ্ঞাত হ্যাকারদের অনুপ্রবেশ ঘটেছিল। এর ফলে সপ্তাহান্তে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বন্দরগুলো বন্ধ হয়ে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের অবকাঠামোর ওপর সাইবার হামলার জন্য চীনকে দায়ী বলে চিহ্নিত করার পর মে মাসে অস্ট্রেলিয়া তার ফাইভ আইজ স্পাই শেয়ারিং নেটওয়ার্কে যোগ দেয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনও রয়েছে।

কানাডা ও নিউজিল্যান্ডও এই জোটের অংশ।

এখন পর্যন্ত বৈশ্বিক সাইবার হামলায় চীনের জড়িত থাকার দাবি নিয়ে বেইজিং-এর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এএসডি প্রতিবেদনে রাষ্ট্র সমর্থিত সাইবার হামলার উদাহরণ হিসেবে ইউক্রেনের যুদ্ধের সময় রাশিয়ার অপরাধীদের কর্মকাণ্ডও তুলে ধরা হয়েছে।