রাজধানী দিল্লিতে বায়ুদূষণ 'অতি বিপজ্জনক', চিকিৎসকদের পরামর্শে অন্য শহরে স্থানান্তরিত কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী

জয়পুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী।

ভারতের রাজধানী দিল্লির বাতাসের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) হাজারের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। বাতাসে দূষণের এই মাত্রাকে 'অতি বিপজ্জনক' বলা হয়। পরিবেশবিদ, চিকিৎসকরা বলছেন, এখন দিল্লির বাতাসে শুধুই বিষ-বাষ্প। প্রতি শ্বাসেই বিষাক্ত কণা ঢুকছে দিল্লিবাসীর শরীরে।

এই মাত্রাতিরিক্ত দূষণের মধ্যে স্বাস্থ্যের কারণে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে হাওয়া বদলের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাদের পরামর্শ মেনে রাজধানীর পরিবেশ-পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত জয়পুরে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে তালকে।

মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর জয়পুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী। তার এমনিতে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে। তাছাড়াও তিনি দু’বার কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ফলে দূষণের কারণে তার ফুসফুসে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাদের মতে, দিল্লির দূষিত বাতাসে শ্বাস নিলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে। দশ নম্বর জনপথ সূত্রে বলা হচ্ছে, রাহুল গান্ধী মঙ্গলবার রাতে জয়পুর গিয়ে মায়ের সঙ্গে দেখা করবেন। বুধবার ১৫ নভেম্বর ছত্তীসগড়ে ভোটের প্রচারে যাওয়ার কথা রাহুল গান্ধীর।

দু'মাস আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সনিয়া গান্ধী। গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবল জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। যদিও বেশিদিন হাসপাতালে থাকতে হয়নি । একদিন পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস নেত্রীকে। এর আগে জানুয়ারি মাসেও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল সনিয়াকে।

এই প্রথমবার নয়। দিল্লির দূষণ এড়াতে এর আগেও প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রীকে অন্য শহরে যেতে হয়েছে। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতিতে শীতকালে সনিয়া গান্ধী ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পরামর্শে গোয়ায় যেতে হয়েছিল জলহাওয়া পরিবর্তন করতে। পরে পরিস্থিতির খানিক উন্নতি হওয়ার পর ফিরে আসেন তিনি।

এবারে যদিও জয়পুরে যাচ্ছেন কংগ্রেস নেত্রী। আগামী ২৫ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে রাজস্থানে। জয়পুর গিয়ে সেখানে কোনও নির্বাচনী কর্মসভায় তিনি অংশ নেবেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি।