দীপাবলির উৎসব ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাটিয়েছেন সীমান্তে সেনাদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে বিরোধীরা ফের চীনের প্রসঙ্গ তুলে তার সমালোচনা শুরু করেছে।
২০২০ সালের ২০ মে থেকে পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকা চীন দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই বছরের ১৯ জুন প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে বলেন, "দেশের ভূখণ্ড অখণ্ড। ভারতের সীমানায় বিদেশি শক্তির অনুপ্রবেশের অভিযোগ ভিত্তিহীন।"
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরে প্রাক্তন সেনা কর্তাদের একাংশ এবং বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর দাবি মানতে চায়নি। এই ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তখন থেকেই সরব। দু’মাস আগে লাদাখ সফরের সময়েও তিনি একই কথা বলে এসেছেন।
বিগত তিন বছরের মতো এবারও চেষ্টা হয়েছিল সীমান্ত বরফে ঢাকা পড়ে যাওয়ার আগে লাদাখকে চীনা সেনা মুক্ত করা। কিন্তু দফায় দফায় বৈঠকেও আসল লক্ষ্যপূরণ হয়নি। গত চার বছরে চীনের সেনা, কূটনৈতিক কর্তাদের সঙ্গে মোট ২০ দফা বৈঠক হয়। ১১ দিনের ৬০০ ঘণ্টার আলোচনাতেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। ২০২০-এর মে মাসে সংঘর্ষে দুই দেশের একাধিক সেনা নিহত হন। সেই থেকে শান্তি আলোচনাও অব্যাহত। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ চীন দখল করা এলাকা থেকে সরেনি।
বিরোধীদের অভিযোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেমন কোনও মন্তব্য করেননি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর-আও এ বিষয়ে নীরব থাকছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী চীন সীমান্ত নিয়ে শেষ বার মন্তব্য করেছিলেন ২০২০ সালের ১৯ জুন।