ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে লন্ডনে লাখো মানুষের মিছিল

চলমান ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের সময় গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে শনিবার লন্ডনে জনতা সমাবেশ করেছে। ( ১১ নভেম্বর, ২০১১)

শনিবার মধ্য লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী তিন লাখেরও বেশি বিক্ষোভকারী মিছিল করে। উগ্র ডানপন্থী পালটা বিক্ষোভকারীদের মূল সমাবেশে হামলা করা থেকে ঠেকাতে পুলিশ ১২০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির বার্ষিকীতে প্রতিবছর ব্রিটেন এবং অন্যান্য দেশ যুদ্ধে নিহতদের স্মরণ করে। এই বছর দিনটি পালিত হবার সময় বিক্ষোভের প্রতিবাদে জড়ো হওয়া পুলিশ এবং গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, সেনোটাফ যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ঘটা সহিংসতার নিন্দা করেছেন এবং বৃহত্তর সমাবেশে যোগ দেওয়া "হামাসের সহানুভূতিশীলদের" সমালোচনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান এটিকে "জনতার" নেতৃত্বে "ঘৃণা মিছিল" বলে অভিহিত করলে , ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন প্রদর্শন এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর ধারাবাহিকতায় শনিবারের মিছিলের আগে উত্তেজনা চরমে উঠে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিয় গুত্তেরেস ২৪ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজাতে ইসরাইলের অবরোধ 'আন্তর্জাতিক মানবতা আইনের স্পষ্ট লংঘন'।

লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ এই অনুষ্ঠানটি বন্ধ করার জন্য মন্ত্রীদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। তারা বলে, তাদের কাছে সরকারের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে এমন কোন গুরুতর সহিংসতার তথ্য নেই।

চলমান পরিস্থিতিতে সুনাক পুলিশকে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।