উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক শনিবার পিয়ংইয়ং ও মস্কোর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, এ ধরনের মন্তব্য শুধু (কোরীয়) উপদ্বীপে “রাজনৈতিক ও সামরিক অস্থিরতার মাত্রা বাড়াবে, যা বিপদজনক।”
এ সপ্তাহের শুরুতে জাপানে জি সেভেন জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর সিউলে আসেন ব্লিংকেন। সেখানে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে সফর করার সময় তিনি বলেন, পিয়ংইয়ং ও মস্কোর মধ্যে সামরিক সম্পর্ক “বাড়ছে এবং এটি বিপদজনক”। তিনি পিয়ংইয়ংয়ের প্রধান মিত্র চীনকে পারমাণবিক অস্ত্র সজ্জিত উত্তর কোরিয়ার ওপর রাশ টেনে ধরার অনুরোধ জানান।
পিয়ংইয়ং শনিবার ব্লিংকেনের মন্তব্যের প্রতি নিন্দা জানায় এবং বলে, তার মন্তব্যগুলো “দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উসকানিমূলক।”
রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) পিয়ংইয়ংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, তার (ব্লিংকেনের) মন্তব্যগুলো “শুধুই কোরীয় উপদ্বীপ ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের রাজনৈতিক ও সামরিক অস্থিরতা বাড়াবে, যা বিপদজনক।”
উত্তর কোরিয়ার আনুষ্ঠানিক নাম ব্যবহার করে মন্ত্রক আরও বলে, “যুক্তরাষ্ট্রকে ডিপিআরকে ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের নতুন বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।”
পিয়ংইয়ং শনিবার আরও বলছে, “অন্যেরা যাই বলুক না কেন, ডিপিআরকে ও রাশিয়ার মধ্যে স্বাধীনতা, শান্তি ও বন্ধুত্বের চেতনাকে ঘিরে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রয়েছে, যা ধারাবাহিকভাবে আরও বলিষ্ঠ হচ্ছে।”
ব্লিংকেনের সফরের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সোমবার সোওলে দেখা করবেন। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষাভিত্তিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।