বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির বৃহত্তম পুলিশ বাহিনীকে অন্যান্য গোষ্ঠীর তুলনায় ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের প্রতি আরও নমনীয় বলে অভিযোগ করেছেন। তার বক্তব্য ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের কারণে রাজনৈতিক বিরোধ আরও গভীর করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বলেছেন, লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ বাহিনী “ফিলিস্তিনিপন্থী জনতা” দ্বারা আইন ভঙ্গকে উপেক্ষা করছে। তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বানকারী বিক্ষোভকারীদের “ঘৃণামূলক মিছিলকারী” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এক মাসের বেশি সময় আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে লন্ডন এবং অন্যান্য ব্রিটিশ শহরে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সরকার একটি পদযাত্রা পরিকল্পনা করার জন্য আয়োজকদের সমালোচনা করেছে। শনিবার আরমিস্টিস দিবস। এটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির বার্ষিকী। এদিন ব্রিটেনে অনেকেই যুদ্ধে হতাহতদের স্মরণ করে।
সুনাক রিমেমব্রেন্স উইকেন্ডে পরিকল্পিত বিক্ষোভকে “উস্কানিমূলক এবং অসম্মানজনক” বলে সমালোচনা করেছেন।
৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের প্রাণঘাতী হামলার কারণে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে শনিবারের বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। বিক্ষোভটি বামপন্থী গোষ্ঠী এবং মুসলিম সংগঠনগুলো পরিচালনা করেছে। এছাড়া ইসরাইলকে সমর্থন করে এবং ৭ অক্টোবরের হামলায় জিম্মিদের মুক্ত করার দাবিতে মুক্ত করার দাবিতে বিশাল সমাবেশ হয়েছে।