কৃত্রিম মেঘ তৈরি করা বা রোপন করার পদ্ধতিকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলা হয় ‘ক্লাউড সিডিং’। যেভাবে ফসলের বীজ বপন করা হয়, তেমন ভাবেই আকাশে মেঘের বীজ বপন করা হয়।
বাতাসে যে সামান্য পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকে তা এই মেঘে ছড়ানো রাসায়নিক কণার চারপাশে ঘণীভূত হয়ে ছোট ছোট বরফ দানা তৈরি করে। তারপর যেভাবে মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় তেমনভাবেই এই বরফ দানা বাতাসের সংস্পর্ষে এসে ঘণীভূত হয়ে বৃষ্টির আকারে নেমে আসে। এই পদ্ধতিকে ‘নিউক্লিয়েশন’ বলা হয়।
এই দূষণের মেঘ সরানোর জন্যই বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা করছেন বিজ্ঞানীরা। বর্ষাকাল বিদায় নিয়েছে। তাই এখন বৃষ্টি নামাতে হলে কৃত্রিম মেঘ তৈরি করতে হবে। আইআইটি কানপুরের গবেষকরা এই কৃত্রিম মেঘ থেকেই অকাল বৃষ্টি নামাবেন দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে।
আগামী ২০-২১ নভেম্বর দিল্লিতে এই কৃত্রিম বৃষ্টি নামানো হতে পারে বলে জানা গেছে। আকাশে মেঘ ছড়ানোর জন্য বিমান বা রকেট ব্যবহার করতে পারেন গবেষকরা। ইতিমধ্যেই আইআইটি কানপুরের ক্যাম্পাসে ৫,০০০ ফুট উঁচুতে বিমান উড়িয়ে মেঘের উপর রাসায়নিক ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে মেঘের স্তরকে আরও ঘন করা যায়। কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টির জন্য যে ধরনের মেঘের সাহায্য নেওয়া হয়, সেগুলিকে পরিবাহী মেঘ বলা হয়। যে যে এলাকায় দূষণের মাত্রা বেশি সেখানে গিয়েই এই মেঘ ছড়িয়ে আসা হবে। বিশেষ বিমানে করে কৃত্রিম মেঘ দিল্লির আকাশে ছড়াবেন গবেষকরা। তাদের আশা, এই কৃত্রিম মেঘ থেকেই স্বস্তির বৃষ্টি নেমে রাজধানীর আকাশকে দূষণ-মুক্ত করবে।