ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি রবিবার সৌদি আরবের রাজধানীতে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ সংক্রান্ত একটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রস্তুতির সাথে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সোমবার এএফপিকে একথা জানিয়েছে।
সাত বছর দেশ দুটির সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন থাকার পর তারা কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে সম্মত হওয়ার পর এটি রাইসির প্রথম সৌদি সফর হতে যাচ্ছে। দেশ দুটির কূটনৈতিক সম্পর্কের চুক্তি চীনের মধ্যস্থতায় মার্চ মাসে ঘোষণা করা হয়েছিল।
সৌদি আরবের উপকূলীয় শহর জেদ্দা ভিত্তিক সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশগুলোর ৫৭ সদস্যের ব্লক অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন এই শীর্ষ সম্মেলনটি আয়োজন করছে।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যুদ্ধের বিষয়ে আরব লীগ নেতাদের জরুরি বৈঠকের একদিন পর এই সম্মেলন হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ওআইসি বারবার গাজায় বেসামরিক মানুষদের ওপর হামলার বিরুদ্ধে কথা বলেছে। যুদ্ধে ইসরাইল জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে হামাসকে নির্মূল করার চেষ্টা করেছে। ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলেছেন, ৭ অক্টোবরের হামলায় ১৪০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে, এবং ২৪০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়েছে। মৃতদের বেশিরভাগই বেসামরিক মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এক মাসের লাগাতার ইসরাইলি বোমাবর্ষণের পর হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক সোমবার বলেছে, গাজায় মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে ৪ হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু অন্তর্ভুক্ত।
রাইসি এবং সৌদি আরবের বর্তমান শাসক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ১২ অক্টোবর প্রথম ফোনে এ ব্যাপারে আলোচনা করেন। আলোচনায় উভয় ব্যক্তিই ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, তারা "ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা" নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সৌদি কর্মকর্তারা যুদ্ধের সম্ভাব্য বিস্তার নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই যুদ্ধ সালমানের সুদূরপ্রসারী ভিশন ২০২৩ সংস্কার এজেন্ডাকে লাইনচ্যুত করতে পারে। ভিশন ২০৩০-এর উদ্দেশ্য অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারক সৌদি আরবকে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরিয়ে নেয়া।