ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের “গণহত্যা” বন্ধের দাবিতে সোমবার নিউইয়র্কের স্ট্যাচু অব লিবার্টিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছে শত শত আমেরিকান ইহুদি অ্যাক্টিভিস্ট।
“ইহুদিরা এখনই যুদ্ধবিরতি চায়” বা “আমাদের নামে নয়” লেখা কালো টি-শার্ট পরিহিত বিক্ষোভকারীরা নিউইয়র্কের আইকনিক ল্যান্ডমার্কের পাদদেশে জড়ো হয়। “পুরো বিশ্ব দেখছে” এবং “ফিলিস্তিনিদের মুক্ত হওয়া উচিত” লেখা ব্যানার উত্তোলন করে তারা।
ইহুদি ভয়েস ফর পিস বা জেভিপি'র জে সেপার এক বিবৃতিতে বলেন, "আমাদের ইহুদি পূর্বপুরুষ এমা লাজারাসের বিখ্যাত কথাগুলো এই স্মৃতিসৌধে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, যা গাজার ফিলিস্তিনি, যারা মুক্তভাবে শ্বাস নিতে চাইছে, তাদের সমর্থনে পদক্ষেপ নিতে আমাদের বাধ্য করছে।”
বিবৃতিতে লাজারাসের কবিতা "নিউ কলোসাস" উদ্ধৃত করা হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মূর্তির গোড়ায় খোদাই করা হয়েছিল।
ইনস্টিটিউট ফর মিডল ইস্ট আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এর অংশগ্রহণকারীরা "গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের উপর ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধের" দাবি জানিয়েছে।
অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য বিখ্যাত নিউইয়র্ক সিটি গত এক মাস ধরে ইসরাইলপন্থী ও ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে।
শহরটিতে প্রায় ২০ লক্ষ মিলিয়ন ইহুদি এবং লক্ষ লক্ষ মুসলমানের আবাসস্থল। এটি এখন পর্যন্ত সংঘাত সম্পর্কিত যে কোনও সহিংসতা এড়াতে পারলেও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা স্পষ্ট।
আমেরিকান ইহুদি তরুণদের একটি উদারপন্থী অংশ গাজায় ফিলিস্তিনিদের উপর "গণহত্যা" চালানোর অভিযোগে ইসরাইলের কঠোর সমালোচনা করেছে।
ইসরাইলের প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থনেরও নিন্দা জানিয়েছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এক মাস ধরে বোমা বর্ষণ চালিয়ে আসছে ইসরাইল ।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সোমবার গাজায় মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।
শনিবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ওয়াশিংটনে জড়ো হয়ে গাজা ভূখন্ডে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় এবং ইসরাইলকে সমর্থনের যুক্তরাষ্ট্রের নীতির নিন্দা জানায়। অক্টোবরের শেষের দিকে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী একই দাবি নিয়ে ম্যানহাটনের বিশাল গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল ট্রেন স্টেশনে অবস্থা নিয়েছিল।
তাছাড়াও পৃথকভাবে, হাজার হাজার ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারী, যার মধ্যে কিছু আমেরিকান ইহুদি সংগঠনও রয়েছে, বিখ্যাত ব্রুকলিন ব্রিজটি বন্ধ করে দেয়।