বেইজিং-এ চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মাইলফলক বৈঠককে স্বাগত জানালেন অস্ট্রেলীয় নেতা

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ (বাঁয়ে) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব পিপল এ দেখা করছেন (৬ নভেম্বর ২০২৩)

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন, যা তার ভাষায় দুই দেশের সম্পর্কে একটি “ইতিবাচক” মাইলফলক। এরপর তিনি শি’কে ক্যানবেরায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

২০১৬ সালের পর প্রথম অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অ্যালবানিজ চীন সফরে গেলেন। ক্যানবেরা সরকার বলছে, বেশ কিছু রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়ে মতানৈক্যের পর চীনে তার এই সফর দুই দেশের কূটনীতিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করার দিকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হতে পারে।

মানবাধিকার ও কোভিড-১৯ এর উৎপত্তিস্থলসহ কিছু ভূরাজনৈতিক বিষয়ে মতভেদের মাঝে বেইজিং অস্ট্রেলীয় পণ্যের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ ও শুল্ক আরোপ করে।

২০২২ এর মে মাসের নির্বাচনে জয়লাভের পর অ্যালবানিজ চীন প্রসঙ্গে অপেক্ষাকৃত কম আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি অবলম্বন করেছেন। এর উদ্দেশ্য, অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল করা ও একইসঙ্গে মতানৈক্যের জায়গাগুলো স্বীকার করে নেওয়া।

অস্ট্রেলিয়া সরকারের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এ বছরের শেষ নাগাদ সীফুড ও গরুর মাংসসহ সব ধরনের অস্ট্রেলীয় পণ্যের বিরুদ্ধে চীন সব ধরনের আমদানি বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করবে। চীন জানিয়েছে, তারা অস্ট্রেলীয় ওয়াইনের ওপর আরোপ করা শুল্কের বিষয়ে ৫ মাসের একটি নিরীক্ষা চালাবে।

অ্যালবানিজ বেইজিংয়ে সংবাদদাতাদের বলেন, চীনের নেতার সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু অনেক বিস্তৃত ছিল।

অস্ট্রেলিয়ার বৈশ্বিক বাণিজ্যের এক তৃতীয়াংশ চীনের সঙ্গে। বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন তার অর্থনীতির উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়া থেকে পাওয়া কাঁচামালের ওপর বড় আকারে নির্ভরশীল, যার মধ্যে আছে আকরিক লোহা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস।

অ্যালবানিজ শি-কে অদূর ভবিষ্যতে অস্ট্রেলিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান। একইসঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টও অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীকে আবার চীনে ফিরে এসে দেশটির অন্যান্য অংশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।