শুক্রবার ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ভারতের রাজধানী দিল্লি। শুধু দিল্লি নয়, উত্তর প্রদেশ, পূর্ব ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। সেই কম্পনের ৭২ ঘণ্টা কাটার আগেই সোমবার ৬ নভেম্বর বিকেলে ফের ভূমিকম্প হল দিল্লিতে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দিল্লি সহ তার আশপাশ এলাকাতেও কম্পন অনুভব হয়। জানা গেছে, কম্পনের উৎসস্থল সোমবার ছিল উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা। ন্যাশনাল সেন্টার অব সিসমোলজি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৫.৬।
ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দিল্লিতে। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন লোকজন। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভূমিকম্পের অনুভূতি শেয়ার করেছেন। তবে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
ভূকম্প বিশেষজ্ঞেরা এই ধারাবাহিক কম্পন নিয়ে অনেক আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তাদের পূর্বাভাস, উত্তর-পশ্চিম হিমালয়ে অদূর ভবিষ্যতে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। পূর্বাভাসের পরে দফায় দফায় কেঁপে উঠছে দিল্লি।
শুক্রবার ৩ নভেম্বর রাতে নেপালে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয়েছিল। সীমান্ত পেরিয়ে কম্পনের রেশ টের পেয়েছিলেন ভারতের দিল্লি, বিহার, উত্তর প্রদেশ, কলকাতার মানুষজন। ভারতে শুক্রবারের সেই ভূমিকম্পের জেরে হতাহতের কোনও ঘটনা না ঘটলেও নেপালে ১৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বহু বাড়িঘর-দোকানপাট ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। রবিবার ৫ নভেম্বর-ও নেপালে মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে।