শনিবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ ৪ দিনের সফরে চীন পৌঁছেছেন। ২০১৬ সালের পর এটাই অস্ট্রেলিয়ার কোনো নেতার প্রথম চীন সফর।
অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরির রাজধানী ডারউইনে অ্যালবানিজ বলেন, “আমাদের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার দেশটিতে ৭ বছরের মধ্যে এটাই (কোনো অস্ট্রেলীয় সরকার প্রধানের) প্রথম সফর, যা একটি অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ। এই সফরে আমি প্রেসিডেন্ট শি (জিনপিং) ও প্রিমিয়ার (প্রধানমন্ত্রী) লি (চিয়াং) এর সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা ও সংলাপে অংশ নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”
অ্যালবানিজের আলোচনা সূচির শীর্ষে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা আনার বিষয়টি থাকতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক তিক্ত হলেও সম্প্রতি এর কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেইজিং বেশ কিছু অস্ট্রেলীয় পণ্যের ওপর আমদানি বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেছে, যার মধ্যে আছে কয়লা, কাঠ ও বার্লি।
চীন সম্ভবত (অস্ট্রেলিয়ার কাছে) সহায়তা চাইবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০২০ সালে চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। সে সময় চীন ১ হাজার ২৭০ কোটি ডলার মূল্যমানের অস্ট্রেলীয় পণ্যের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। যার মধ্যে ছিল অস্ট্রেলীয় ওয়াইনের ওপর ১১৬ দশমিক ২ শতাংশ থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বে ২১৮ দশমিক ৪ শতাংশ শুল্ক।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ককে স্থিতিশীল করা প্রাধান্যের বিষয় হলেও, কয়েকজন বিশেষজ্ঞ মনে করেন অ্যালবানিজ ক্যানবেরা ও বেইজিং-এর মধ্যে বিদ্যমান কিছু মৌলিক দ্বিমতের জায়গা ও আরও কিছু বিতর্কিত বিষয় আলোচনায় উত্থাপন করবেন।
কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, অ্যালবানিজ ও তার মন্ত্রীসভার সদস্যরা বারবার চীনে আটক থাকা অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের মুক্তি আদায়ের আবেদন জানিয়েছেন। এ ছাড়াও, অ্যালবানিজের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীনে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সফরেও একই ধরনের উদ্যোগ নিতে পারেন অ্যালবানিজ।