সর্বসাম্প্রতিক ঘটনা:
- মিত্রদের সঙ্গে মতপার্থক্যের কথা স্বীকার করলেন ব্লিংকেন
- ইসরাইল বলছে স্কুলে বিস্ফোরণ আইডিএফ ‘এর অন্য লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করার ফল
- লন্ডন, বার্লিন ও প্যারিসে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সমর্থকদের মিছিল
- হামাস বলছে তাদরে নেতা সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন।
আরব নেতারা শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের উপর প্রকাশ্যেই চাপ প্রয়োগ করেছেন যাতে অবিলম্বে গাজায় অস্ত্রবিরতি করা যায়। ‘এর ঘন্টাখানেক আগে ফিলিস্তিনিরা জানায় যে ইসরাইলি বিমান আক্রমণে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে কমপক্ষে ১৫ জন প্রান হারিয়েছেন। স্কুলটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
বিরল এক খোলামেলা দ্বিমতে যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কুটনীতিক এক সংবাদ সম্মেলনে জর্ডান ও মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন অস্ত্রবিরতির ফলে হামাস আবার সংগঠিত হবে এবং ইসরাইলের উপর আর্ও আক্রমণ চালাবে।
হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলে প্রবেশ করে ১,৪০০ লোককে হত্যা করার এবং ২৪০ জনকে জিম্মি করার প্রায় চার সপ্তাহ পরে বিলংকেন আম্মানে সৌদিিআরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত , মিশর ও জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন।
হামাসের ঐ হামলার পর ইসরাইল গাজার উপর বিমান আক্রমণ চালিয়েছে, গাজাকে অবরোধ করে রেখেছে এবং ঐ ছিঁটমহলে মানুষের অবস্থা নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইসরাইলের আক্রমণে ৯.৪৮৮ জনেরও বেশি লেঅক প্রাণ হারায়।
জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আয়মান সাফাদি ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ এখন আমাদের এটা নিশ্চিত করতেই হবে যে এই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়”।
ব্লিংকেন বলেন শান্তির প্রয়োজনের ব্যাপরে সকলেই সহমত এবং গাজার বর্তমান অবস্থা চলতে পারে না তবে তিনি স্বীকার করেন ওয়াশিংটনের সঙ্গে তার মিত্র দেশগুলির দ্বিমত রয়েছে । ওয়াশিংটন গাজায় সহায়তা পৌছানোর জন্য সাময়িক ভাবে যুদ্ধ স্থগিত রাখার কথা বলছে।
ব্লিংকেন বলেন, “ এখন অস্ত্র বিরতির মানে হচ্ছে হামাসকে তার জায়গায় ছেড়ে দেয়া এবং ৭ অক্টোবর যা তারা করেছিল সেটারই পুনরাবৃত্তি ঘটানো। কোন দেশ , আমাদের কেউই এটা মেনে নেবে না”।
শনিবার দিনে আরও আগের দিকে ফিলিস্তিনি প্রত্যক্ষ দর্শীরা বলেন ইসরাইল জাবারিয়ায় আল ফাখুরা স্কুলে আঘাত হানে । স্কুলটিতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছিল।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলে যে প্রাথমিক অনুসন্ধান অনুযায়ী তারা ঐ স্থানটিকে লক্ষ্যবস্তু করেনি তবে হয়ত অন্য জায়গাকে আইডিএফ লক্ষ্যবস্তু করেছিল আর তার ফলে স্কুলে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরনার্থী সংস্থার যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক জুলিয়েট টওমা বলেন গাজা সিটি অঞ্চলের জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে আঘাত হানা হয়েছে।