আইনজীবীর বারবার 'মাই লর্ড' সম্বোধনে বিরক্তি প্রকাশ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির

আইনজীবীর বারবার 'মাই লর্ড' সম্বোধনে বিরক্তি প্রকাশ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির।

ভারতের শীর্ষ আদালতে এক আইনজীবী মামলায় সওয়াল করতে গিয়ে বার বার ‘মাই লর্ড’, ‘ইয়োর লর্ডশিপ’ বলে সম্বোধন করায় বিরক্ত হয়ে যান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পি এস নরসীমা। এতটাই অসন্তুষ্ট হন তিনি যে ‘মাই লর্ড’ বলা বন্ধ করলে সেই আইনজীবীকে নিজের অর্ধেক বেতন দেওয়ার কথা বলেন বিচারপতি নরসীমা।

ভারতের আদালতে বিচারক কিংবা বিচারপতিকে ‘মাই লর্ড’ কিংবা ‘ইয়োর লর্ডশিপস’ বলে সম্বোধন করার রীতি রয়েছে। আদালত কক্ষে ‘মাই লর্ড’ বা ‘ইওর লর্ডশিপ’ বলে সম্বোধন করা ব্রিটিশ আমলের প্রভাব। যদিও পরে এই অলিখিত নিয়ম প্রায় শিথিল হয়ে যায়। কিন্তু অনেক আইনজীবীই এখনও এই সম্বোধন করে থাকেন। সেই প্রচলিত ‘মাই লর্ড’ সম্বোধনেই এবার অসন্তুষ্ট হলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি।

বুধবার ১ নভেম্বর শীর্ষ আদালতে বিচারপতি পি এস নরসীমা এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চে একটি মামলার শুনানি চলছিল। সংশ্লিষ্ট মামলাতেই একজন প্রবীণ আইনজীবী বিচারপতি নরসীমাকে একাধিক বার ‘মাই লর্ড’ বলে সম্বোধন করছিলেন। এতে বিরক্ত হয়ে বিচারপতি আইনজীবীকে বলেন, “আর কত বার আপনি আমাকে ‘মাই লর্ড’ বলবেন? আপনি যদি এটা বলা বন্ধ করেন, তবে আমি আপনাকে আমার অর্ধেক বেতন দিয়ে দেব।” শুধু তাই নয়, কেন তাকে ‘স্যর’ বলে সম্বোধন করা হচ্ছে না, এদিন সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি নরসীমা।

২০০৬ সালে, ‘বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’-র পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাশ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিচারকদের কোনও আইনজীবী আর ‘মাই লর্ড’ ও ‘ইয়োর লর্ডশিপ’ বলে সম্বোধন করবেন না। তার পরিবর্তে ‘স্যর’ বলে সম্বোধন করা হবে স্থির হয়েছিল।তারপরেও সেই সিদ্ধান্ত খাতায়-কলমেই থেকে গিয়েছে। আদালতকক্ষে বিচারক কিংবা বিচারপতিকে সম্বোধনের পুরনো প্রথা এখনও মেনে চলেন অনেক আইনজীবীই।