জনজাতি দাঙ্গা বিধ্বস্ত ভারতের মণিপুরে নতুন করে নিরাপত্তা বাহিনীর জঙ্গি দমন অভিযান শুরু

জনজাতি দাঙ্গা বিধ্বস্ত ভারতের মণিপুরে নতুন করে নিরাপত্তা বাহিনীর জঙ্গি দমন অভিযান শুরু।

ভারতের উত্তর-পূর্বে মণিপুরে মেইতেই-কুকি জনজাতি দাঙ্গা শুরুর পর কেটে গেছে ছয় মাস। গত ৩ মে সেখানে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের সূচনা হয়েছিল। তিন মাস পরে এখনও এই রাজ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

সহিংসতা বাড়ার কারণে শুক্রবার ৩ নভেম্বর থেকে নতুন করে জঙ্গি দমন অভিযান শুরু করতে হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীকে। ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা মোরেহতে গত মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর জঙ্গি হামলায় একজন মহকুমা পুলিশ অফিসার নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন আরও দুই পুলিশ কর্মী।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর ওই এলাকা কার্যত জঙ্গিদের দখলে চলে গিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র অনুযায়ী জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে মিয়ানমারের একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। মোরেহর সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় মিয়ানমার জঙ্গিদের সক্রিয় ভূমিকা নজরে এসেছে ভারতের প্রশাসনের।

বৃহস্পতিবার ২ নভেম্বর রাত পর্যন্ত মোরেহতে বিপুল সংখ্যায় নিরাপত্তা জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। সড়ক পথ ছাড়াও দুর্গম এলাকায় ছোট বিমান থেকে সেনা নামানো হয়। এই এলাকাকে জঙ্গি মুক্ত করতে গোয়েন্দা সূত্রে তথ্যসংগ্রহ করেছে সরকারি এজেন্সিগুলি।

ছয় মাস পরেও মণিপুরের অন্যত্রও সহিংসতা বজায় রয়েছে। প্রশাসনের তরফে বক্তব্য, বিগত কয়েক দিন সাধারণ মানুষ বড় ধরনের হিংসা শিকার না হলেও পরিস্থিতি যে কোন সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, মোরেহর ঘটনায় তেমন ইঙ্গিত রয়েছে। কারণ লুট হওয়া অস্ত্র অধিকাংশই এখনই উদ্ধার করা যায়নি।

সরকারি সূত্রের খবর গত ৩ মে জাতিদাঙ্গা শুরুর পর কুকি বহুল চূড়াইচাঁদপুর এবং মেইতেই প্রধান বিষ্ণুপুর ও পূর্ব ইম্ফল জেলার অস্ত্রাগার থেকে লুঠ হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের ৭৫ শতাংশ এখনই উদ্ধার করা যায়নি। প্রায় সাড়ে ছয় লাখ রাউন্ড গুলি জঙ্গিরা লুঠ করে। বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনার তদন্তে প্রশাসনের তরফে বলা হচ্ছে লুঠ হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করছে দুই গোষ্ঠী।