হামাসের হাতে জিম্মিদের নিয়ে আলোচনা জন্য কাতার, মিশর সফরে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রী

ন্যাথাপর্নের বাবা-মা থাইল্যান্ডের নাখোন ফানোমে তাদের বাড়িতে তার ছবি ধরে রেখেছেন। ন্যাথাপর্ন ইসরাইলে কাজ করছিলেন। ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি ইসলামি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বে তিনি অপহৃত হয়েছেন। ১০ অক্টোবর, ২০২৩।

ইসরাইলে হামলায় হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া অন্তত ২২ জন থাই নাগরিককে নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার কাতার এবং মিশরে জরুরি সফর শুরু করেছেন থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রী। ইসরাইলের কর্তৃপক্ষ বলছে, ৭ অক্টোবর গাজা ভূখন্ড থেকে ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলায় ১৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগ ছিলেন বেসামরিক নাগরিক ।

পাল্টা ইসরাইলের সেনাবাহিনী গাজায় হামলা চালিয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, এই হামলায় ৮৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩০০০-এর বেশি শিশু।

গাজায় হামাসের হাতে ২৩০ জনের বেশি মানুষ জিম্মি রয়েছে। ইসরাইলের সর্বসাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে, এদের মধ্যে ২২ জন থাই নাগরিক। ব্যাংককের পররাষ্ট্র মন্ত্রক একথা জানিয়েছে। তবে ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলেছেন, জিম্মিদের মধ্যে ৫৪ জন থাই রয়েছে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন বলেছেন, তার সরকার থাই নাগরিকদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে কঠোর পরিশ্রম করছে।

বুধবার মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনার আগে মঙ্গলবার তিনি কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রী বাহিদ্ধা-নুকারাকে পাঠিয়েছেন।

সংঘর্ষ শুরু হওয়ার সময়কালে প্রায় ৩০ হাজার থাই ইসরাইলে কাজ করছিলেন। তাদের অনেকেই ইসরাইলের কৃষিখাতে কাজ করছিলেন।

মন্ত্রক জানিয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত ৩২জন থাই নিহত হয়েছে এবং ১৯ জন আহত হয়েছে।

সোমবার প্রতিবেশী দেশ লাওস সফরের আগে স্রেথা সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা যুদ্ধের শিকার।”

স্রেথা বলেন, সরকার ইসরাইল থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক থাইদের আর্থিক সহায়তা দেবে।

স্রেথা সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যে যারা ফিরে এসেছে তাদেরকেসহ আমরা জনপ্রতি ১৪০০ ডলার করে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি।