ভারতের দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ: ডিভোর্স ঠেকাতে দরকার বিবাহপূর্ব চুক্তি

প্রতীকী ছবি

বুধবার, ১ নভেম্বর একটি বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় এক নজিরবিহীন পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে ভারতের দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

আদালত সূত্রের খবর, ২০১১ সালে উত্তর প্রদেশের এক যুগলের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই উভয়ের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি। এমনকী ২০১৪ সালে দম্পতির এক সন্তান হওয়ার পর এই কলহ আরও বাড়ে। ২০১৬ সালেই নিম্ন আদালতে বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন স্বামী। তার পালটা হিসাবে, গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনে বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন স্ত্রী। নিম্ন আদালত তাদের সমঝোতার পরামর্শ দিলেও স্বামী এবং স্ত্রী দুজনের কেউই তা মানতে চাননি।

এই মামলাই গড়িয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে শুনানির সময়ে বিচারপতি হরিশ কুমার তার পর্যবেক্ষণে জানান, স্বামী-স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদের প্রবণতা ঠেকাতে বেশ কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত। তাহলে ডিভোর্সের পরিবর্তে মিলবে সুখী দাম্পত্য। বিয়ের আগে হবু স্বামী এবং স্ত্রীর উচিত বিয়ের সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলির বিষয়ে কাউন্সেলিং করা। তার ভিত্তিতে নিজেদের মধ্যে বিবাহপূর্ব চুক্তিও করা উচিত।

বিচারপতি হরিশ কুমারের কথায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের (ম্যারেজ রেজিস্ট্রি অফিসার) উপস্থিতিতে একটি বাধ্যতামূলক বিবাহপূর্ব চুক্তি করার সময় ভারতে এখন এসেছে। এর ফলে শুরু থেকেই উভয় পক্ষ সতর্ক থাকবে। এভাবে বাড়তে থাকা বিবাহ বিচ্ছেদের প্রবণতাও ঠেকানো যাবে বলে মনে করছে আদালত।