বুধবার মস্কোতে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে একটি বিমানবন্দরে সপ্তাহান্তে দাঙ্গার নতুন বিবরণ দিয়েছেন। সেখানে তখন তেল আবিব থেকে একটি বিমান অবতরণ করেছিল। তিনি বলেন কিছু যাত্রীকে হেলিকপ্টারে করে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার আগে টার্মিনালে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল।
রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার বেন জাভি রবিবার রাতের অস্থিরতার জন্য চরমপন্থী লোকদের দায়ী করেছেন। তার মতে, এ সকল বিষয় মুসলিম প্রজাতন্ত্র দাগেস্তানে “ মন্ত্রণা দানের”ফলে উদ্ভূত হয়েছে।
ইসরাইল থেকে বিমান দাগেস্তানের রাজধানী শহর মাখাচকালায় বিমানবন্দরে অবতরণ করলে বিক্ষুব্ধ জনতা সেখানে হামলা চালায়। শত শত মানুষ ইহুদি বিরোধী স্লোগান লেখা ব্যানার নিয়ে ভবনে ঢুকে পড়ে এবং ইসরাইলি যাত্রীদের খুঁজতে টারমাকের দিকে ছুটে যায়।জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কর্তৃপক্ষের কয়েক ঘন্টা সময় লেগেছিল।
পুলিশ ও বেসামরিক মানুষসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। ৮০ জনের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। রাশিয়ার তদন্ত কমিটি গণ বিক্ষোভ আয়োজনের অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
বেন জাভি বলেন, বিমানে ৩০ জনের বেশি ইসরাইলি নাগরিক ছিলেন তবে কেউ আহত হননি।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের “পশ্চিমী স্পেশাল এজেন্টদের” এই অস্থিরতার জন্য দায়ী করেছেন। কোনো প্রমাণ ছাড়াই তিনি বলেছেন, তারা রাশিয়াকে দুর্বল করার জন্য দাগেস্তানে তাণ্ডব চালিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কার্বি পুতিনের অভিযোগকে “ধ্রুপদী রুশ বয়ান” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আরও বলেন,“এই ঘটনার সাথে পশ্চিমের কোনো সম্পর্ক নেই।” কার্বি সহিংসতার নিন্দার জন্য আরও বেশি কিছু না করার কারণে পুতিনের সমালোচনা করেছেন। তিনি এটিকে “ঘৃণার একটি ভয়াবহ প্রদর্শন” বলে অভিহিত করেছেন।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, ইসরাইল “রুশ আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে প্রত্যাশা করে যে, ইসরাইলি নাগরিক এবং ইহুদিরা যেখানেই থাকুক না কেন দেশটি তাদের সবার নিরাপত্তা রক্ষা করবে এবং তারা দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে এবং ইহুদি ও ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে সংঘটিত বন্য উস্কানির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে কাজ করবে। ”