মিয়ানমার জান্তা দ্বিতীয় দিনের মতো চীনের সাথে সীমান্ত শহরে বোমা বর্ষণ করেছে

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর তোলা এই ছবিতে উত্তর শান রাজ্যের শহরতলী লাশিওতে মিয়ানমারের একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র দেখা যাচ্ছে।

বিদ্রোহীদের মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বুধবার দ্বিতীয় দিনের বিমান হামলা শুরু করেছে। তারা চীনের সাথে সীমান্তে একটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে।

সেনাবাহিনী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোটের সাথে যুদ্ধের সময় এই হামলাগুলো হয়। যে অঞ্চলে যুদ্ধ হচ্ছে সেটি চীনের বিনিয়োগের আবাস স্থল এবং জান্তা বলেছে, সেখানে তারা পরাজিত হয়েছে।

মঙ্গলবার জান্তা-নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র গ্লোবাল লাইট অফ নিউ মিয়ানমারে জানানো হয়, কেআইএ কাচিন রাজ্যের একটি প্রধান রাস্তা দখল করার চেষ্টা করলে সেনা এবং কর্মকর্তারা নিহত হয়।

গত শুক্রবার প্রতিবেশী উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে আরও তিনটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী সমন্বিত আক্রমণ শুরু করার পর হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানা গেছে।

শান হলো তেল এবং গ্যাসের পাইপলাইনগুলোর এবং বিলিয়ন ডলারের একটি পরিকল্পিত রেল সংযোগের আধার।পাইপলাইনগুলো দিয়ে চীনে তেল এবং গ্যাস সরবরাহ করা হয়। রেল সংযোগটি হলো বেইজিং-এর বৈশ্বিক অবকাঠামো বেল্ট এন্ড রোড প্রকল্পের অংশ।

সংঘর্ষের বিষয়ে জান্তা কর্মকর্তাদের সাথে দ্বিতীয় দিনের আলোচনার জন্য মঙ্গলবার নাইপিদাওতে চীনের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং-এর সাথে দেখা করেছেন। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একথা জানায়।

বেইজিং মিয়ানমারের সাথে তাদের সীমান্তে কিছু জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখে। ওই অঞ্চলটি জাতিগত চীনা সম্প্রদায়ের আবাসস্থল যারা চীনা সিম কার্ড এবং মুদ্রা ব্যবহার করে।

তারা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে- এমন খবর পূর্বে অস্বীকার করেছে।

এই মাসের শুরুর দিকে প্রতিবেশী কাচিন রাজ্যে বাস্তুচ্যুতদের একটি শিবিরে হামলায় প্রায় ৩০ জন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে।

কেআইএ হামলার জন্য জান্তাকে দায়ী করেছে।