ইয়েমেনের হুথিদের ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আক্রমণ

গাজা ভূখন্ডে ইসরাইলি বোমা হামলায় নিহত স্বজনদের জন্য দেইর আল বালাহ মর্গের সামনে শোক প্রকাশ করছেন ফিলিস্তিনিরা। অক্টোবর ৩১,২০২৩ ।

ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি গোষ্ঠী বলেছে তারা লোহিত সাগরের অদূরে বিমানের একটি লক্ষ্যবস্তুকে ইসরাইল ভূপাতিত করার পর হুথিরা মঙ্গলবার ইসরাইলের উপর বিপুল সংখ্যক ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালিয়ছে।

এই অভিযান ছিল ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তৃতীয় তৎপরতা। টেলিভিশনে দেয়া এক বিবৃতিতে হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেন আরও আক্রমণ চালানো হবে।

সারি গাজা ভূখন্ডে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রসঙ্গে বলেন , “ ইসরাইলি আগ্রাসন” বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই আক্রমণগুলো অব্যাহত থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

সম্ভাব্য “ বৈরি বিমানের প্রবেশ” সম্পর্কে প্রাথমিক সতর্ক বার্তার পর ইসরাইলি সামরিক বাহিনি বলে, “ তারা আকাশপথে একটি লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করতে পেরেছে যেটি ইসরাইলী অঞ্চলের দিকে এগিয়ে আসছিল। এই সতর্কবার্তার পর পর্যটনস্থল ইলাতের অধিবাসীরা মঙ্গলবার সকাল দিকে সেই স্থান থেকে পালিয়ে যান।

তারা আরও বলে, “ অসামরিক লোকজনের প্রতি কোন রকম হুমকি বা ঝুঁকি ছিল না” এবং প্রতিরক্ষামূলক তৎপরতা সফল হয়। মঙ্গলবার লোহিত সাগর থেকে ইসরাইলি অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোনের আঘাত হানার কোন খবর পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেনের হুথি নেতা , আব্দেল মালেক আল-হুথি ১০ অক্টোবর বলেছিলেন গাজা সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি হস্তক্ষেপ করে, গোষ্ঠীটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এবং অন্যান্য সামরিক বিকল্প ব্যবস্থা ব্যবহার করে পাল্টা জবাব দেবে।

হুথিরা নিজেদের তথাকথিত, “ অ্যাক্সিস অফ রেজিজটেন্স” হিসেবে দেখে যার মধ্যে রয়েছে ইরাকে ইরান সমর্থিত শিয়া মুসলিম উপদল এবং লেবাননের হেজবুল্লাহ গোষ্ঠী্ ।