গাজায় “জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়” আসন্ন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। অতিরিক্ত ভিড়, ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি এবং জল ও স্যানিটেশন অবকাঠামোর ক্ষতির কারণে এই ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমায়ার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইসরাইলি বোমা বর্ষণের সঙ্গে বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর সরাসরি সম্পর্ক নেই।
লিন্ডমিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, "এটি একটি আসন্ন জনস্বাস্থ্য বিপর্যয় যা ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি, অতিরিক্ত ভিড়, জল ও স্যানিটেশন অবকাঠামোর ক্ষতির সাথে জড়িত।”
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১,৪০০ মানুষ নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি জিম্মি হওয়ার পর থেকে হামাস পরিচালিত ছিটমহলটিতে ইসরাইল বিমান হামলা শুরু করে। এরপর থেকে এ পর্যন্ত ৮,৩০০-র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গত সপ্তাহে গাজায় স্থল অভিযান শুরু করে।
বোমা হামলা ছাড়া অন্য কোনো জটিলতায় মানুষ মারা যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে লিন্ডমায়ার বলেন, “অবশ্যই যাচ্ছে।”
লবণাক্ত পানি পানে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "ডিহাইড্রেশনের কারণে শিশু মৃত্যু, বিশেষ করে ডিহাইড্রেশনের কারণে নবজাত শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে।"
তিনি বলেন, গাজায় প্রায় ৯৪০টি শিশু নিখোঁজ রয়েছে এবং তাদের কেউ কেউ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক দপ্তর মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, “অজ্ঞাত কারণে” গত ৩০ অক্টোবর গাজার দক্ষিণাঞ্চলে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।