বুদ্ধের জন্মস্থান হিসেবে ভক্তির স্থান থেকে শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের প্রধান

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস নেপালে তার চার দিনের সফরের অংশ হিসেবে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট লুম্বিনীর মায়া দেবী মন্দির পরিদর্শনের সময় গণমাধ্যমে ভাষণ দিচ্ছেন। ৩১ অক্টোবর, ২০২৩।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বুদ্ধের জন্মস্থান হিসেবে নেপালে একটি ভক্তির স্থান থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউক্রেন এবং সুদানসহ সংঘাতের পটভূমিতে শান্তির জন্য একটি আবেগপ্রবণ আবেদন জানিয়েছেন।

নেপাল সফরে গিয়ে গুতেরেস রক্তপাতের “দুঃস্বপ্ন” অবসানের জন্য ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আশু প্রয়োজনের কথা বলেছেন।

গুতেরেস বলেন, “মধ্যপ্রাচ্য,ইউক্রেন,সাহেল,সুদান এবং বিশ্বের আরও অনেক স্থানে সংঘাত চলছে।”

“মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইন পদদলিত হওয়ায় বৈশ্বিক নিয়ম এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে খর্ব করা হয়েছে।”

গুতেরেস হিমালয়ের দক্ষিণে লুম্বিনীতে প্রার্থনা করেন। লুম্বিনীকে তিনি “আধ্যাত্মিকতা,প্রশান্তি এবং শান্তির” স্থান বলে অভিহিত করেছিলেন।

বুদ্ধদেব বস্তুগত সম্পদ ত্যাগ করেছিলেন এবং নিরাসক্ত জীবন প্রচার করার জন্য তিনি এমন একটি ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যে ধর্মের এখন ৫০ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে।

সোমবার গুতেরেস এভারেস্ট অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন। এভারেস্টের হিমবাহ দ্রুত গলে যাচ্ছে। মঙ্গলবার তিনি সতর্ক করেন, “জলবায়ু সংকটের প্রভাব বাড়ছে।”

তিনি বলেন, “মানবতা প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করছে এবং নিজের সাথেও যুদ্ধ করছে।”

১৮৯৬ সালে পুনঃআবিষ্কারের আগে বুদ্ধের জন্মস্থানটি জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর স্তম্ভে শিলালিপির উপস্থিতি দেখে ঐতিহাসিকরা এটিকে লুম্বিনি বলে চিহ্নিত করেন।