- ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
- ইউএন এজেন্সি ফর প্যালেস্টিনিয়ান রিফিউজিস বলেছে, গাজায় নাগরিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তারা বোমা হামলাকে "সম্মিলিত শাস্তি" হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে।
- গাজায় আক্রমণ বৃদ্ধির সাথে সাথে ইসরাইল সেখানে একদিনে ৬০০টি টার্গেটে আঘাত করেছে।
- ইসরাইল সিরিয়া এবং লেবাননেও টার্গেটে আঘাত হেনেছে।
- ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামাসের হাতে বন্দি থাকা এক ইসরাইলি সেনাকে সোমবার গাজায় সামরিক অভিযানের সময় মুক্ত করা হয়েছে।
- হামাস তিনজন জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একে ‘নিষ্ঠুর মনস্তাত্ত্বিক প্রচারণা’ বলে অভিহিত করেছেন।
৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাস জঙ্গিদের হামলার পর থেকে গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলার ফলে জনাকীর্ণ ফিলিস্তিনি ছিটমহলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। সোমবার হামাস পরিচালিত ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, বিমান হামলায় ৮,৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। মানবিক সংগঠন সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, সংঘাতে তিন হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির আহ্বান “ইসরাইলকে হামাসের কাছে আত্মসমর্পণ করার, সন্ত্রাসবাদের কাছে আত্মসমর্পণ করার, বর্বরতার কাছে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান।”
নেতানিয়াহু বলেন, “এটি হবে না।”
১৪০০ ইসরাইলি নিহত হওয়ার আচমকা হামলার কারণে পদত্যাগ করার ক্রমবর্ধমান আহ্বানও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন নেতানিয়াহু।
ইসরাইল বলছে, ৭ অক্টোবরের সন্ত্রাসী হামলার সময় হামাস ২৩০ জনের বেশি জিম্মিকে অপহরণ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
সোমবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, "গাজা উপত্যকায় সন্ত্রাসীদের সাথে সংঘর্ষের সময় আইডিএফ সেনারা কয়েক ডজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে। তারা ভবন এবং সুড়ঙ্গে মানব ব্যরিকেড তৈরি করেছিল এবং সেনাদের আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল।" হামাসও উত্তর-পশ্চিম গাজায় ব্যাপক লড়াইয়ের খবর দিয়েছে।
রবিবার ইসরাইলের সেনাবাহিনী আবার যুদ্ধের কেন্দ্রস্থল থেকে দূরে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সাময়িকভাবে গাজার দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ার জন্য জরুরি আহ্বান জানিয়েছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।